ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৬ এপ্রিলঃ ‘পান্তাভাত’ সকলের কাছে অতি পরিচিত একটি লোভনীয় পদ। যা শরীর মন দুটোকেই ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই কাঠফাটা গরমে এক থালা পান্তাভাত, সঙ্গে একটু কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা আর একটু তেল। আহঃ!!! আর কি চাই?

গ্রামবাংলার অতি পরিচিত একটি খাবার। পান্তা আসলে কিছুই নয়। জলে ভেজানো বাসি ভাত। মনের মতো উপকরণ সহযোগে স্বাদেও হয় অনবদ্য। আর এই অনুষঙ্গের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে আলুসেদ্ধ ভর্তা, বেশ কিছু ভাজা, আর তার সঙ্গে যদি থাকে মাছ ভাজা। আর যদি সেটা হয় ইলিশ মাছ ভাজা, তাহলে তো যাকে বলে সোনায় সোহাগা। আর এবার সকলের সেই অতি পরিচিত ‘পান্তা-ইলিশ’ এর স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে সেই সুদূর আমেরিকায়। আর সেই পান্তা- ইলিশ এবার মাতিয়ে দিচ্ছে প্রবাসি বাঙ্গালীদের।পয়লা বৈশাখ গেছে কয়েকদিন আগে। প্রবাসী বাঙালীরা এই সেলিব্রেশন থেকে বাদ যাবেন কেন বলুন তো? সম্প্রতি আমেরিকার নিউ জার্সিতে প্রবাসী বাঙ্গালিদের উদ্যোগে হইহই করে আয়োজিত হল পান্তা-ইলিশ উৎসব। তবে এটির প্রথম সূচনা হয়েছিল ২০১২ সালে, শ্রাবণী নন্দীর চেষ্টায়।
কি ছিল না এবারের পান্তা ইলিশ উৎসবে। বেগুন ভর্তা , পোস্তর বড়া থেকে শুরু করে কচুর শাক, ডালের বড়া, বিভিন্ন ধরনের বাটা আর ইলিশ মাছ তো বটেই। আর এইসব সহযোগেই পেট ভরে খাওয়া হল জল ঢালা ভাত অর্থাৎ পান্তাভাত

এই শ্রাবণী নন্দী তিনি এক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষের বিপুল জমায়েতের মধ্যে নিজেরা অস্থায়ী দোকান তৈরি করে পান্তাভাত আর ভাজা ইলিশ বিক্রি শুরু করেন। হু হু করে বিক্রি হয় সেই পদ। এভাবেই ক্রমে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পান্তা দিয়ে ইলিশ খাওয়ার প্রচলন। তাই পান্তা নিয়ে ভালবাসা বরাবরই ছিল বাঙালির মনে। আর ইলিশ যে বাঙালির আবেগ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই দুই জনপ্রিয় পদের মিল হতেও তাই বেশি সময় লাগেনি। আর তাই বেশি সময় লাগেনি জনপ্রিয় হতেও। সেই জনপ্রিয় পদ যে আমেরিকার বুকে সকলের কাছে এত প্রিয় ও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, ভাবলেই আবক হচ্ছেন তিনি।

শ্রাবণী নন্দী বললেন, খাবারটি যতই লোভনীয় হোক না কেন, এখনও নাক- উঁচু ভাব রয়েছে অনেকেরই। ২০১২ সালে তাঁর মাথায় এসেছিল এটির ভাবনা। পয়লা বৈশাখের দিন যদি দুই বাংলাকে এক সুতোতে বাঁধা যায়, তাহলে বেশ হয়। আর এই ছোট ভাবনাই আজ বিশাল রূপ নিয়েছে। যা কখনই ভাবতে পারেননি তিনি। আসলে বাঙালী যত দূরেই যাক না কেন, মাটির টান কি ভোলা যায়? আর এই পান্তাভাত তো বাঙালীর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রয়েছে। তাই বাংলা থেকে যতই দূরে থাকা হোক না কেন, বাংলার এই গন্ধ, টান কেউই কখনও ভুলতেও পারবে না কোনদিন।(EVM News) পাকা পেঁপে, সাদা সরষে ও টক দই দিয়ে দূর করুন রোদে পুড়ে যাওয়া ট্যান

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর