ব্যুরো নিউজ, ১৬ জানুয়ারি: পাইকারি বাজারে বাড়ছে নিত্যপন্যের দাম
কেন্দ্র- রাজ্যের সরকার যতোই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সাফাই দিক না কেন সাধারণ পাইকারি বাজারে খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, সেই বৃদ্ধির হার ০.৭৩ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে গতবছর ডিসেম্বর মাসে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ছিল চোখে পরার মতো। এর ফলে সবথেকে বিপাকে পরেছেন সাধারণ মানুষ। দেশের খুচরো বাজারে ভোগ্যপণ্য বৃদ্ধি অনেকদিন ধরেই ঘটে চলেছে। গত এপ্রিল থেকে প্রায় ৭ মাস একটু নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে আবার তা ঊর্ধ্বমুখী।
নিয়োগ কমার পরে বন্ধের পথে রেলের ছাপাখানা
গত বছর ডিসেম্বরের একেবারে শেষে সেই মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়েছে ৯.৩৮ শতাংশ। ধান, গম, ও তার সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আনাজ। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ মূলত পেট্রো পণ্যের দাম বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত তেলের দাম কমলেও ভারতে তা কমেনি। এর প্রভাব পড়ছে সারা দেশে। হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনেকের আশঙ্কা পণ্যের উপর রেলের ভাড়া আরও বাড়তে পারে। আর সেই জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য সরাসরি চাষিদের থেকে উপভোক্তাদের হাতে আসে না। মাঝখানে ফোড়েদের দালালি ও কমিশনে আরও দাম বেড়ে যায়। সরকারকে বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁদের কোন হেলদোল নেই।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টস অফ ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন কর্তা অনির্বাণ দত্ত বলেন, কেন্দ্র চেষ্টা করেও খাদ্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে পারছে না। আবার একই সঙ্গে চাল ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য যা এ রাজ্যে উৎপন্ন হয় তার দামও বাড়ছে লাগামছাড়া। খোলা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০- ২৫ টাকা প্রতি কেজি। ফলে গরিব মানুষ আলুভাতে ভাত খেতে গেলেও দামের ছেঁকা লাগছে তাঁদের গায়ে। ইভিএম নিউজ