সংকল্প দে, ২৪ মেঃ (Latest News) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপভোক্তা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আজ দার্জিলিংয়ের চকবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে মেগা অভিযান চালানো হলো।
আজ সকালে দার্জিলিং বাজারে বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালানো হলো এই অভিযানে সামিল হয়েছিল সরকারের বিভিন্ন দপ্তর। উল্লেখযোগ্য দপ্তর গুলি হল খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর, উপভোক্তা দপ্তর, স্থানীয় পৌরসভা জি এস টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দার্জিলিং শাখা, এছাড়া লিগাল মেট্রলজি এবং প্রচুর পুলিশ। যৌথ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শ্রী নিলয় সরকার সহ অধিকর্তা উপভোক্তা দপ্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দার্জিলিং রিজোনাল অফিস। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্রীমতি পপি রায়, এছাড়াও পুরসভার একদল আধিকারিক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দার্জিলিং অফিসের জিএসটি আধিকারিক এবং চেম্বার অফ কমার্সের দার্জিলিং শাখার সভাপতি এবং সদস্যরা।
বিভিন্ন দোকানগুলোতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয় তাতে ধরা পড়ে সরকারের আইন অনুযায়ী যে সমস্ত কাগজপত্র রাখা দরকার ছিল তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া যায়নি। দার্জিলিংয়ের বেশ ক’টি ওষুধের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছিল। কোথাও কোথাও ক্যাশ মেমো ছিল না, আর থাকলেও তাতে জিএসটি নাম্বার উল্লেখ নেই।
বেশ কয়েকটি দোকানে ট্রেড লাইসেন্সে অনেক পণ্যর উল্লেখ নেই যা সেখানে রাখা ছিল। কয়েকটি দোকানে দেখা গেল ১৯৪৮ সালের ড্রাগ এন্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের আইন অনুযায়ী সেখানে কসমেটিক্স একই সঙ্গে বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি কোন লাইসেন্স খুঁজে পাওয়া যায়নি ওইসব দোকানগুলিতে।
বেশ কয়েকটি দোকানে বেকারি পাউরুটি থেকে কেক কোনোটাতেই দাম, ওজন, কবে তৈরি হয়েছে এসব কিছুই লেখা নেই। স্থানীয় একটি বেকারি কারখানায় অভিযান চালানো হলে ধরা পড়ে, খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী যেসব কথা গুলি লেখা আছে কোনটাই পালন করা হচ্ছে না। এমনকি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাউরুটি, বিস্কুট, কেক বেকারি সামগ্রী সেখানে যাই তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণটাই অস্বাস্থ্যকর। এমনকি ওই বেকারির সঙ্গে একটি টয়লেট খুঁজে পাওয়া গেল যার জল গড়িয়ে যেখানে বেকারির সামগ্রী রাখা রয়েছে তার পাশ দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে।
এই মেগা অভিযানে উপভোক্তা দপ্তরের তরফে এবং লিগেল মেট্রলজি আদেশ অনুযায়ী বেশ কয়েকজনের ব্যবসায়ীর দাঁড়িপাল্লা ওজন করার যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দার্জিলিং এর জয় কমপ্লেক্স অভিযান চালালে ধরা পড়ে ওখানে অন্য চিত্র। নামি কোম্পানির জুতো বিক্রি করা হচ্ছে, কিন্তু অভিযান চালানোর পর দেখাযায় নকল জুতোকে আসল জুতো বলে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি একটি কাপড়ের দোকানে অভিযান চালালে দেখা যায় ৮০০ টাকার জিনিস পনেরশো টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কয়জন পর্যটক অভিযোগ জানালেন যে দার্জিলং-এ কাপড় এবং অন্য সামগ্রী কিনে তারা ঠকেছেন।
বহুদিন থেকে উপভোক্তা দপ্তরে নানা অভিযোগ জমা পড়ছিল দার্জিলিংয়ের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। তাই উপভোক্তা দপ্তর আর অন্যান্য দপ্তর তৎপর হয়ে মঙ্গলবার অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মেগা অভিযান চালান।
উপভোক্তা দপ্তরের সহ অধিকর্তা নিলয় সরকার ও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক শ্রীমতি পপি রায় জানালেন, প্রচুর বিদেশী খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য সামগ্রী মজুদ করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চীনা সামগ্রী, থাইল্যান্ডের ক্যান্ডি ও প্যাকেটজাত সামগ্রী। দুই একটি ক্ষেত্রে তারিক উত্তরে যাওয়া সামগ্রী অভিযানকারীদের হাতে ধরা পড়েছে।
এই অভিযান আরো তীব্রতর করা হবে বলে দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। আজ সংবাদপত্রের বহু সাংবাদিক এই অভিযানের সাক্ষী ছিল। (EVM News)