ন’য়ের দশকের ছবিতে কৌতুক অভিনেতা বললে যাঁর নাম প্রথমেই মনে পড়ে, তিনি হলেন জনি লিভার। হাস্যরসের দক্ষতায় জায়গা করে নিয়েছেন অগণিত মানুষের মন। ১৯৮৪ সালে অভিনয় জগতে আসা জন প্রকাশ রাও জনুমালার। সিনেমা জগতে কৌতুকাভিনেতা জনি লিভার নামেই পরিচিত তিনি। কিন্তু এখন জনি লিভারের কেরিয়ার আর মধ্য গগনে নেই, অনেকটা পড়ন্ত বিকেলের সূর্যের মতো। অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গিয়েছে জনিকে আর বড় পর্দায় তেমন কৌতুক চরিত্রে দেখা যায় না। ন’য়ের দশকে তিনি একের পর এক হিট ছবিতে কাজ করেন। তবে কি কেরিয়ার থেকে বিরতি নিলেন তিনি? না, বরং অতীত দিনের অভিনয়ের যে সার্চ লাইট তাঁর ওপর ছিল, তাকেই অকপটে বিশ্লেষণ করেছেন এই অভিনেতা।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনকার অভিনেতারা অনেক বেশি সাবলীল। তাঁরা সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন। এখন কোনও ছবির চরিত্রে কৌতুকরস দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেটি নায়ক-খলনায়কের চরিত্র নির্বিশেষে তৈরি করা হয়। নিজের কর্মজীবনের কথা বলতে গিয়ে অকপটে বললেন, তিনি যে সময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন, তখন কীভাবে পর্দায় চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে হয় তা নিয়ে পথ দেখানোর মতো তেমন কেউ ছিলেন না। সেই সময় জনির চরিত্র নির্মাণের জন্যও আলাদা কোনও লেখকও ছিলেন না। তাই নিজস্ব ভাবনায়, নিজস্ব আঙ্গিকে কৌতুক চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলতেন জনি লিভার। আর ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বাজিগর’ ছবিই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়, বলে মনে করেন জনি।
জনির সাফল্যে বলিঊডের তাবর ও নামী তারকারা অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকফুটে থাকতেন। কারণ দর্শকরা জনি লিভারের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বেশি আলোচনা করতেন বলেই ওই নামী তারকারা কার্যত ভীত সন্ত্রস্ত থাকতেন। এমনটাই জানিয়েছেন কৌতুকের ভান্ডার নিয়ে থাকা জনি লিভার। তবে তার আক্ষেপ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিনেমায় তাঁর পর্বগুলো ক্রমশ সংকুচিত হয়েছে। আর এখন তো সিনেমায় সেই পর্বটাই উধাও। কমেডি চরিত্র নিয়ে এখন মাথা ঘামাবার লোকও নেই বলে জানান তিনি।