শ্রাবণী দাশগুপ্ত, ২৫ এপ্রিলঃ এ রাজ্যে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা ভীষণভাবেই রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এখানে পঞ্চায়েত ‘দলের পঞ্চায়েত’ হয়ে গিয়েছে। গ্রামের পঞ্চায়েত, মানুষের পঞ্চায়েত হয়ে উঠতে পারেনি। এ রকমই মত প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত পরিষদ, যা কিনা অখিল ভারত পঞ্চায়েত পরিষদের রাজ্য শাখা।

তবে এই পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংস্থা। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রেখে গ্রামীণ জীবন যাত্রার সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করার উদ্দেশ্যেই ১৯৫৮ সালে তৈরি হয়েছিল অখিল ভারত পঞ্চায়েত পরিষদ। ১৯৯৩ সালে ৭৩ তম সংবিধান সংশোধনীতে এই পরিষদের দায়িত্ব ও গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।

মূলত পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা গ্রামের মানুষদের জন্য ‘অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’ নীতিকেই আদর্শ হিসেবে তুলে ধরে। সেখানে রাজনৈতিক সংগঠন বা দলের প্রভাব একেবারেই থাকার কথা নয়।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো ছবি। দলের প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোট হয়, এরপর গোটা পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রাজনৈতিক দলগুলোর কুক্ষিগত হয়ে পড়ে। জনগণ সেখানে শুধুই ভোটদাতা।

এই পরিস্থিতির বদল চাইছে পঞ্চায়েত পরিষদ। সংবিধানের ৭৩ তম সংশোধন অনুসরণ করে পঞ্চায়েত হয়ে উঠুক গ্রামীণ সরকার সেখানে থাকুক দলমত নির্বিশেষে গ্রামের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ – এই দাবিতেই সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত পরিষদ। তাদের স্লোগান, ‘চাইনা কোন দলের লোক, গ্রাম পঞ্চায়েত গ্রামের হোক’। আর এই দাবিকে সামনে রেখেই সোমবার মৌলালি যুবক কেন্দ্রে সংস্থার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে এই বক্তব্যই তুলে ধরা হল।(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর