রাজীব ঘোষ, ১৭ অক্টোবর: নেতাজির হাতে পুজোর সূত্রপাত | নজর কাড়বে পুজোর থিম ভাবনা 

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এখানকার দুর্গাপুজোয়। ১৯৫৬ সাল থেকে এই পুজোতে এক প্রথা শুরু হয়েছিল। সেই প্রথা অনুযায়ী, দশমীতে মাকে বরণ করার পরে পাড়ার মহিলাদের হাতে একটি লক্ষ্মীর ভান্ডার তুলে দেওয়া হয়। তাতে মাটির ভাড়, সিঁদুর, আলতা এবং মিষ্টির বাক্স থাকে।

বারোয়ারি পুজোয় বনেদিয়ানা | আসতেই হবে এই পুজোমন্ডপে

পরের বছর পুজোর আগে সেই ভাঁড়ের টাকা সংগ্রহ করেই সেই টাকা দিয়ে ভোগের আয়োজন করা হয়। ১৯২৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাত ধরে এই পূজোর সূত্রপাত ঘটে। এই দুর্গাপুজোর মূল কান্ডারী ছিলেন বিপ্লবী বারীন ঘোষ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। শুরু থেকেই এখনো পর্যন্ত প্রাচীন নিয়ম মেনে খিদিরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসবের পুজো হয়ে আসছে। অষ্টমীর পুজোতে এবং সন্ধিপূজোয় খিদিরপুরবাসি সকলেই নিয়ম মেনে পুজো প্রাঙ্গনে মিলিত হন।

এই দুর্গাপুজোর উদ্দেশ্য ছিল, ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে পুজোকে সামনে রেখে স্বদেশী আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানে মূর্তি পূজার বদলে ঘটপুজো হয়েছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও বিপ্লবী বারীন ঘোষের হাত ধরে এই পুজোর সূচনা হয়। মা দুর্গার গায়ে পরানো পাঁচ দিন পাঁচ বেনারসি দান করা হয় হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে।

খিদিরপুর সর্বজনীন পুজোর এই বছরের থিম, উৎসব বিজ্ঞাপনের। তার মূল কারণ, এই মুহূর্তে আর সর্বজনীন পুজো বিজ্ঞাপন ছাড়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সেই ভাবনাকে সামনে রেখেই খিদিরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির এবারের এই থিম ভাবনা।

পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, সর্বজনীন পুজো এখন আর নেই। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের Sponsorship এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই বর্তমান সময়ে দুর্গাপুজো কোথায় রয়েছে,তা তুলে ধরতেই এ বছরের মন্ডপসজ্জায় এই ভাবনা রূপায়িত করা হচ্ছে। খিদিরপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসবের থিম শিল্পী, প্রবীর সাহা। প্রতিমা শিল্পী, কেষ্ট দাস। খিদিরপুর সর্বজনীনের এই দুর্গাপুজোয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ছড়িয়ে রয়েছে। তাই নেতাজির হাত ধরে যে পুজোর সূত্রপাত, তা দেখতে হলে অবশ্যই আসতে হবে খিদিরপুর সর্বজনীনের পুজো মন্ডপে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর