ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ হাঙরের সঙ্গে সেলফি সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ এমনকি ব্লগ রেকর্ডিং পর্যন্ত করছেন । সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়া অতিকায় এক হাঙরকে ঘিরে উপছে পড়েছে পর্যটকদের ভিড় দিঘার মোহনায়। রবিবার দীঘার মোহনায় সারপ্রাইজ পেলেন সেখানে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।
দীঘায় হাঙর যদিও নতুন কোনও ঘটনা নয়, তবুও হাঙর ধরা পড়ার খবর শুনে পর্যটকদের ভিড়ে উপছে পড়েছে মোহনার তট। যেমন তার ওজন তেমনই বিশাল তার চেহারা। জানা গিয়েছে, ২০০ কেজির ওই হাঙরটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দিঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে ওই হাঙরটি।পরে দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায় গোটা এলাকায়।
মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০ কেজি ওজনের ওই হাঙরটিকে ২৯ হাজার টাকায় কলকাতার এক মৎস্য কোম্পানি কিনে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভেটকির মতো সামুদ্রিক মাছের বিকল্প হিসেবেও খাবারে ব্যবহৃত হয় হাঙরের। ফলে মৎস্য বাজারে এই হাঙ্গরের খুব চাহিদা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (রপ্তানি-আমদানি) EXIM নীতি অনুযায়ী, হাঙ্গরের পাখনা আমদানি বা রপ্তানি নিষিদ্ধ করে একটি সার্কুলার জারি করা আছে।
ভারত বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের বিপন্ন প্রজাতির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কনভেনশনেরও স্বাক্ষরকারী (CITES), ফলে দেশে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে হাঙরের বাণিজ্য পরিচালনার বিষয়ে যে বিধি নিষেধগুলি এই কনভেনশনে সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়েছে তা ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু এই বিধি নিষেধের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে সমুদ্র সৈকতে অবাধে বিক্রি হল এদিনের ওই হাঙর। ভেটকির মতো সামুদ্রিক মাছের বিকল্প হিসেবেও খাবারে ব্যবহার হয় হাঙরের।