ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৬ জুনঃ (Latest News) পঞ্চায়েত নির্বাচন যদি করতে হয় অর্থাৎ ভোট যদি করতে হয় তাহলে যথাযথ নিরাপত্তা দিয়েই তা করতে হবে, নিরাপত্তা না পেলে আমরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাব না। এই শ্লোগান তুলে শহীদ মিনার চত্বরে রবিবার একদল মানুষ সরব হলেন। কিন্তু তারা কারা? কেনই বা এই স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ? আসলে তারা সকলেই ভোট কর্মী।

এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন বুথে ভোটের কাজকর্ম পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব তাদের ওপর। ভোটকর্মীরা আন্দোলন করছেন – এই ঘটনা এ রাজ্যে আগে কখনো দেখা গিয়েছে কিনা তা বলতে পারছেন না কেউই। একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা। এই ভোটকর্মীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রত্যেক বুথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী বহাল করে সেই দাবি তুলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেন।

পঁচিশে জুন রবিবার কলকাতার শহীদ মিনারে সমাবেশে ও মিছিল করলেন। তাদের মূল দাবি ২৫ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হোক। এবং প্রত্যেক বুথে অন্তত চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য। তারা চান ২০১৩ সালে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভোট হয়েছিল এবারও ঠিক সেটাই করতে হবে। আর তা না হলে তারা কেউই ভোট গ্রহণ করতে যাবেন না। এই দাবি তারা জানিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের কাছে এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কাছে। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের রক্তাক্ত স্মৃতি তাদের ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তাই নিরাপত্তার দাবি করছেন তারা।

এরপর রবিবার রাজভবনে বৈঠকের পর অবশ্য তারা আশ্বাস পান যে তাদের আবেদন ভেবে দেখা হচ্ছে। এরপর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভোট কর্মীরা বলেন শুধু মৌখিক আশ্বাস দিলে হবে না, লিখিত আশ্বাস চাই। তা না পেলে তারা কেউই ভোট গ্রহণ করতে যাবেন না এবং ভোট বয়কট করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। তাদের আরো দাবি যদি কমিশন এই নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে যেন কয়েক দফায় ভোট করা হয়। এখন দেখার ভোটকর্মীদের এই দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশন মেনে নেয় কি না।(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর