ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ অগাস্টঃ (Latest News) কোচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। পঞ্চায়েতের মোট ২১ টি আসনের মধ্যে বিজেপি দখল করেছিল ১১ টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল ৮ টি আসন এবং কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থী যথাক্রমে একটি করে আসন দখল করেছিল। পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির নিরলা ওরাও। উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির কেশোরী মোহন রায়।

কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তিনবিঘা করিডরের অন্তর্গত। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরাপোতা ছিটমহলে যাতায়াতের সুবিধার্থে ভারত এই জায়গাটি বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহ যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, তারপর থেকে বিএসএফ অর্থাৎ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বাংলাদেশের নাগরিকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই করিডোর উন্মুক্ত করে দিতো। ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করিডরটি সর্বক্ষণের জন্য উন্মুক্ত করার উদ্যোগ নেন।

অপর্যাপ্ত হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা। হাসিনার উদ্যোগে একটি দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি হলেও তা এখানকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত নয়। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পারাপার এবং অবৈধ পাচার একটি বড় সমস্যা। বিএসএফের উদ্যোগে নজরদারি বাড়ানো হলেও অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত প্রশাসনের সহযোগিতায় এই অবৈধ পাচার বন্ধ করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এই অবৈধ পাচার রোখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে সুকান্ত মজুমদার, নিশীথ প্রামানিক, শুভেন্দু অধিকারীদের একটি দল কোচবিহারে গিয়ে এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বিএসএফের ডিজি, এডিজি, আইজি ও ডিআইজি পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনাও সেরেছেন। আর এবার বিজেপির বোর্ড গঠন হওয়ার পর স্বভাবতই বিজেপি শাসিত প্রশাসনের উপর সেখানকার ভোটারদের প্রত্যাশা অনেকটাই বেশী। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর