বছরের

ব্যুরো নিউজ, ০১ জানুয়ারি: ডেঙ্গি রোধে বছরের প্রথমেই উদ্যোগ দক্ষিণ দমদম পুরসভার

২০২৩ সালে বিধাননগর থেকে শুরু করে দক্ষিণ দমদমের কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দক্ষিণ দমদমের ৮ জন ও বিধাননগরে ১ জনের মৃত্যুও হয়েছিল ডেঙ্গিতে। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ দমদমে লাগাতার ডেঙ্গির প্রকোপ প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে।

২০২৩ সালে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ৮ জনের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। ডেঙ্গির এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে সচেতনতার অভাবকে তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি, তথ্য গোপনের প্রবণতাও সমস্যা বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ২০২৩-এর গোড়ায় দক্ষিণ দমদমের কিছু এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই একযোগে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার ওষুধ ছড়ানো এবং সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।

‘গ্রাম চলো’ অভিযানের রিপোর্টে সন্তুষ্ট বিজেপি

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের শেষ সপ্তাহে এসে ডেঙ্গি মুক্ত হয়েছে বিধাননগর পুরসভার পুর এলাকা। অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ। যা নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ায় ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ডেঙ্গি মুক্ত হয়েছে ওই পুর এলাকা। তাই এইবার বছরের প্রথম দিন থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেষ্ট হয়েছে দমদম পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণ ও সমীক্ষার কাজ শুরু করার কথা। একইভাবে, বিধাননগর পুর এলাকাতেও মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলবে বলে ওই পুরসভা সূত্রের খবর।

নতুন বছরে গোড়ার দিকেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজে জোর বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছিলো পুরসভার তরফে। যদিও বিধাননগর থেকে দক্ষিণ দমদমের বহু বাড়িতেই জল জমার প্রবণতা দেখা যাওয়ার অভিযোগ উঠছে। পুর এলাকার বিভিন্ন অংশে আবর্জনার স্তূপ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও দেখা যায়। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই ব্যাপারে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরসভাকে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
এই বিষয়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস দাবি করেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ করা হয়। বাকি সময়েও সেই কাজে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সময় মতো যাতে তথ্য আসে, সেই দিকটি নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা ও রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হবে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর