ইভিএম  নিউজ ব্যুরো, ২০ এপ্রিলঃ গরমে নাজেহাল গোটা বাংলা। তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই। বেলা বাড়তেই তৈরি হচ্ছে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতেই ওষ্ঠাগত প্রাণ। বৈশাখের  কাঠফাটা রোদ আর তার সঙ্গে হাঁসফাঁস করা গরম স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের। ফলে পেটের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। বিশেষ করে ডায়রিয়া  ছড়াচ্ছে জেলা  থেকে জেলা। আর এই ভ্যাপসা গরমের পর বৃষ্টির মুখ দেখা দিলে ডায়রিয়ার প্রকোপ কয়েকগুন বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এরমধ্যে  সব থেকে বেশি শিশুদের মধ্যে  সংক্রামণ বাড়লে সব থেকে দুশ্চিন্তার কারণ হবে  মনে করা হচ্ছে।

জেনে নেওয়া যাক  কীভাবে ছড়াতে পারে ডায়রিয়া

বিশেষ করে জলঘটিত কারণেই হয় ডায়রিয়া। গ্রামের দিকে অপরিষ্কার পুকুর, কুয়া, নলকূপের জল পানীয় জল  হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ। আর সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়ায় সবথেকে বেশি। গরমের সময় রাস্তার কাটা ফল, শরবত, লস্যি এগুলো খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। আর এইসবের  থেকেই সব থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়ায়।

ডায়রিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো হল  প্রচণ্ড পেট ব্যথা, মোচড়  দেওয়া, হজম ক্ষমতা একেবারেই কমে যাবে।  বমি বমি ভাব , খাবারের প্রতি অনীহা। সংক্রমণ বাড়লে বারে বারে মলত্যাগ হবে, মলের সঙ্গে মিউকাস ও রক্ত থাকতে পারে। জ্বর আসতে পারে রোগীর, শরীর ক্লান্ত হবে, শরীরে জলের পরিমাণ কমে যাবে ।ভারতে এইবছর গ্রীষ্মের তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ৫০ ডিগ্রীতে

অ্যাকিউট ডায়রিয়া শিশু ও বয়স্ক মানুষদের জন্য সব থেকে বেশি বিপজ্জনক। বিশেষ করে অপুষ্টিতে ভুগছে এবং ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম এবং বার বার সংক্রমণে ভোগে এই ধরনের শিশুদের ডায়রিয়া (Diarrhea) হলে করে বেশি যত্ন নিতে হবে। কলিফার্ম জাতীয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, যাতে সংক্রমণ বেড়ে না যায়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ খাবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) অনুমোদিত ওআরএস (ORS) দিতে পারলে ভাল হয়। না হলে বাড়িতে নুন-চিনির জল তৈরি করে রোগীকে অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

রোগীর যদি ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, হার্টের অসুখ, প্রস্টেটের সমস্যা থাকে তাহলে দেরি না করেই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। রোগীর ডিহাইড্রেশন শুরুর আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

পানীয় জল আর খাবারের মাধ্যমেই এই রোগ বেশি ছড়ায়। জল ফুটিয়েই খাওয়াই ভাল, বিশেষ করে বাচ্চাদের জল ফুটিয়ে খেতে দেবেন। রাস্তার ধারের কাটা ফল বা শরবত একদম খাওয়া উচিত নয়। বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার  সব সময়ের জন্য ভালো। স্ট্রিটফুড এড়িয়ে চলুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিন,  কোনও মতেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না।(EVM News)হাসপাতালে না গিয়ে নিজের প্রাইভেট চেম্বারে ব্যস্ত চিকিৎসক, হয়রানির শিকার রোগীরা

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর