স্বপন দাস, ১৬ অক্টোবর: জনপ্রতিনিধিদের এত টাকার প্রয়োজন কীসের?
আজ বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি বিধায়ক ও মন্ত্রীদের জন্য ৪০ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে অতিরিক্ত বেতন বৃদ্ধির বিল আনিতেছেন। এখনকার হিসাব অনুযায়ী প্রত্যেক বিধায়ক ভাতা-সহ মাসে বেতন পান ৮২ হাজার টাকা করে, প্রতিমন্ত্রীরা পান ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা করে। মন্ত্রীরা পান ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা করে। যে পরিমাণ টাকা বিধায়ক-সহ মন্ত্রীরা পান সেটাই কি পশ্চিমবাংলার মতো একটা রাজ্যের জন্য যথেষ্ট নয়?
এই অভাগা বাংলায় কত জন যুবকের রোজগার ৫০০০০ টাকার উপর তা বোধহয় দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। এখন রোজগারের মাপকাঠি যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়, তাহলে কতজন বিধায়ক বা মন্ত্রীর এই পরিমাণ টাকা রোজগার করার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই।
এতো সত্ত্বেও বলা যায়, যখন রাজ্যের কোষাগারের এই হাল তখন সেই রাজ্যের মন্ত্রীদের এত বিলাসবহুল মাহিনা কি বাংলার মানুষের কাছে খুব সুখকর অভিজ্ঞতা? মা মাটি মানুষের কথা বলে যারা এই বিলাসবহুল জীবনযাপন করার জন্য রাজনীতি করছেন তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন, বাংলার মা-মেয়েদের ৫০০ টাকার লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে নিজেরা ৪০ হাজার টাকা করে মাইনা বাড়িয়ে নেওয়ার যুক্তিটাও নিশ্চয়ই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আজকে বিধানসভায় উত্থাপিত করবেন! বাংলার মানুষ এই অন্ধকার রাজত্বে আর কী আসা করতে পারে?
এক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিশ্চয়ই প্রশংসার যোগ্য। তিনি জনগণের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, সে কারণেই জনগণের ভাষাও তিনি বোঝেন। আর যিনি মা মাটি মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি আজ মা, মাটি আর মানুষ এই তিনটে থেকেই যে বিচ্ছিন্ন এটা বলাই বাহুল্য। ইভিএম নিউজ