ইভিএম নিউজ ব্যুরো,১ লা মার্চঃ  স্কুল শুরুর আগেই ভেঙ্গে পড়েছিল, সেই স্কুলবাড়ির দেওয়াল। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল কচিকাঁচাদের জীবন। তবে ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ঘরের পড়া নেমে এসেছে গাছতলায়। সেখানেই চলছে ক্লাশ। কারণ বারবার জানানো হলেও, স্থানীয় প্রশাসন থেকে জেলা শিক্ষাদফতর কেউই সেই জরাজীর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হোসেনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। স্কুলবাড়ি সহ ক্লাসঘরের মেরামত না করা হলে, ছেলেমেয়েদের আর স্কুলে পাঠানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এমন ঘটনায় রীতিমত অস্বসিত পড়ে গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাপ্রশাসন আর শিক্ষাদফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দে জানিয়েছেন, স্কুল শুরু হওয়ার আগে বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ভেঙে পড়ে যায়। সৌভাগ্যবশত সে সময় স্কুল চালু হয়নি। বড় রকমের দুর্ঘটনা থেকে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে স্কুলবাড়ির সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও, এখনো পর্যন্ত সেই আবেদনে কোনরকম আমল দেওয়া হয়নি বলে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ।

ঘটনায নিয়ে যথারীতি শুরু হয়েছে, রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি সমীরণ বাড়ুই বলেন, বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে বিধায়করা দিদির সুরক্ষা কবচের প্রচার করতে, এই ভাঙাচোরা স্কুলে যাচ্ছেন না। আসলে গোটা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাই এই দেওয়ালে র মতো ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নমিতা সিংয়ের দাবি ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত স্কুলটির মেরামতির ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে ওই তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্য, বিরোধীদের কাজ সমালোচনা করা। দিদির সুরক্ষা কবচ একটা পাইলট প্রজেক্ট। এসব না বুঝে বিরোধীরা আসলে প্রচারের আলো পাওয়ার লোভে সমালোচনা করছে।

সবমিলিয়ে, পড়ুয়াদের সমস্যার আশু সমাধান না-করে, উল্টে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিশানা করার এই ঘটনায়, বিজয় ক্ষুব্ধ গ্রামের বাসিন্দা থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবক সকলেই।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর