ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৫ মেঃ (Latest News) ২০১৯ সালে কোভিড-১৯ উদ্বেগজনক পরিস্থিতির প্রথম লকডাউনের সময়ে ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীর সর্বপ্রথম “কোভিড-১৯ সেবা যোদ্ধা পথমূকাভিনয় শিল্পী সমাজসেবী” হিসাবে বহরমপুরের সুজিত কুমার দাস জায়গা করে নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয় কর্তৃক স্বর্ণপদক ও কোলকাতার রোটারি আন্তর্জাতিক ক্লাব কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট নাটক ও মূকাভিনয় শিল্পী সুজিত কুমার দাস কোভিড-১৯ উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে প্রথম লকডাউনের সময় থেকে আজও পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ে পথে পথে মূকাভিনয় প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছেন।

সামাজিক দূরত্ববিধি মান্য করতে, মাস্ক ব্যবহার করতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে এবং লকডাউন বিষয়ে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গাতে ‘করোনা চেতনা’ নামক পথমূকাভিনয় দেখিয়ে মানুষজনদের সচেতন এবং আশ্বস্ত করে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন। জনমানসে সচেতনত তৈরীর লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিরলস ভাবে নিজ উদ্যোগে মুর্শিদাবাদ জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে প্রান্তে আকর্ষণীয় নাটক ও মূকাভিনয় মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি/জাতীয় সংহতি/জাতীয় উপস্থিতি/ভারতের ঐতিহ্য ও সাস্কৃতি, পথ নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, বন্যপ্রাণী ও বন্য প্রাণ সংরক্ষণ, বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ, জল সংরক্ষণ, পরিবেশ সুরক্ষা, শিশু সুরক্ষা/শিশু বিকাশ/শিশু কল্যাণ, নারী শক্তি, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন এবং বাল্যবিবাহ/শিশু নারী পাচার/শিশু শ্রম/শিশু যৌন নির্যাতন এর বিরুদ্ধে প্রচার করে চলেছেন।

সুজিত কুমার দাস ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন সম্মানীয় রাজ্যপাল শ্রী এম কে নারায়নন মহোদয় এর হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ কর্তৃক “সারা রাজ্যে প্রতিবন্ধী কল্যাণে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি” পুরস্কার হিসাবে ‘স্বর্ণপদক’ লাভ করেছেন। ১৯৮৭ সালে ‘বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ’ থেকে ‘তবলা’ বিষয়ে ‘সঙ্গীতশ্রী’, ১৯৯৫ সালে ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য নাটক সঙ্গীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমি’ থেকে ‘নাট্যাভিনয়’ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গে সর্বপ্রথম ‘শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেধাবৃত্তি’, ১৯৯৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর ‘ছাত্র যুব উৎসব’ এর ‘আন্তঃরাজ্য মূকাভিনয় প্রতিযোগীতায় ‘দ্বিতীয় স্থান’, ২০০০ সালে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে ‘ছৌনৃত্য মিউজিক’ বিষয়ে ‘জাতীয় মেধাবৃত্তি’ অর্জন করেছেন। ২০১৪ সালে সমাজসেবার জন্য ‘কোলকাতা রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব’ থেকে ‘প্রিয়দর্শি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল পুরস্কার’ লাভ করেছেন।

১৯৯৩ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘নাটক’ বিষয়ে ‘স্নাতকোত্তর’ ও ২০০৮ সালে শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিষয়ে বিশেষ শিক্ষায় নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এড ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর ‘মুর্শিদাবাদ জেলা শিশু বিচার বোর্ড’ এ তিনি ‘প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদা সম্পন্ন’ শিশু বিচারক সদস্য হিসাবে প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালন করছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে তাঁর পরিকল্পনা ও পরিচালনায় মূকাভিনয় ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা’ বহু প্রশংসা অর্জন করেছে। ২০১০ সালে জি বাংলার বিখ্যাত রিয়ালটি শো সৌরভ গাঙ্গুলীর “দাদাগিরি” তে অংশগ্রহণ করে মূকাভিনয় দেখিয়ে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। লকডাউনের সময় ‘করোনা প্রতিরোধ’ বিষয়ে মানুষদের সচেতনতা প্রচার করার উদ্দেশ্যে গান লিখে, সুর দিয়ে বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় গান গেয়েছেন, পথমূকাভিনয় ও পথনাটক করেছেন এবং নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে নাটক অভিনয় করে, গান গেয়ে প্রচার করেছেন।

 

“পৃথিবীর সর্বপ্রথম কোভিড-১৯ সেবা যোদ্ধা পথমূকাভিনয় শিল্পী” হিসাবে সুজিত কুমার দাস এর মতো এমন একজন সমাজসেবী ব্যক্তির যোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত। (EVM News)

https://drive.google.com/file/d/1xTxeYD0bzG-SwqQhzfINHDTtwh_5PZgE/view?usp=drivesdk

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর