বৃক্ষ

ব্যুরো নিউজ, ১৬ অক্টোবর: কোচবিহারে আয়োজিত হোল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি 

কোচবিহারে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার হলেন দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর সেখানকার আইন শৃঙ্খলা সামাল দেন। পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও তিনি একাত্ম হয়ে পড়েছেন। আই পি এস দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বরাবরই সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে এসেছেন। তিনি  হলেন বর্ধমান গাছ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। গাছ গ্রুপের পুরোধা জাতীয় শিক্ষক গাছ মাস্টার অরূপ চৌধুরীর খন্ডবন গাছ লাগানোর আদর্শের প্রতি তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে কোচবিহারে খন্ডবন তৈরি করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন।

কলকাতা থেকে ১ ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যাবে পুরী!

১৫ অক্টোবর একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় কোচবিহার করুণাময়ী হাই স্কুলের বাঁধের পাড় এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে। এই কর্মসূচির আয়োজক হোল কোচবিহার পর্যাবরণ সংরক্ষণ। সমগ্র কোচবিহার জেলায় সবুজ বিনয় নামে পরিচিতি লাভ করেছেন পর্যাবরণ সংরক্ষণের আহ্বায়ক বিনয় দাস। তারা কোচবিহার জেলায় ১০ হাজার গাছ লাগিয়েছেন। বিনয় দাস জানান, এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ কোচবিহার শহরকে প্রথম পরিকল্পিত নগর হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি সেই সময় সমস্ত শহরকে বিভিন্ন গাছ গাছালি, বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে গড়ে তুলেছিলেন। কালের বিবর্তনে সেই সব গাছ আর দেখাই যায় না। বিনয় দাস বলেন, কোচবিহারের রূপকার মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের সবুজায়নের আদর্শের এখন আর লেশমাত্র নেই বললেই চলে। সভ্যতার অহংকারে প্রায় সমস্ত গাছ ধ্বংস হয়ে গেছে। এই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে উঠেছে কংক্রিটের জঙ্গল। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ সবুজায়নের যে বার্তা দিয়ে গেছেন তাঁর সেই আদর্শের প্রতি আমরা আজও আস্থাশীল। মহারাজার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে তুলতে পর্যাবরণ সংরক্ষণ অঙ্গীকারবদ্ধ।

গাছ গ্রুপের খন্ডবনের ধারণার প্রয়োগ বিভিন্ন জায়গায় শুরু হওয়ায় দ্যুতিমান বাবু সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিনে কোচবিহারে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, ও বিভিন্ন রকম বাহারি ফুলের গাছের চারা লাগানো হয়। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর