কেন

ব্যুরো নিউজ, ১৭ ডিসেম্বর: কেন হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধের’ জঙ্গলমহল উৎসব?

জঙ্গলমহল রাজ্যস্তরীয় উৎসব হত ঝাড়গ্রামে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিষয়ক দফতর ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে হত এই উৎসব। এই উৎসবের উদ্বোধন করতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ন’বছর পর ছেদ পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সাধের’ জঙ্গলমহল উৎসবে। কিন্তু কেন?

 

প্রথমে রা‌জ্যস্তরীয় অনুষ্ঠান হলেও গত দু’বছর ধরে জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠান হত ঝাড়গ্রামে। এবার জেলাভিত্তিক অনুষ্ঠানও পুরোপুরি বন্ধ! এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, শীর্ষ মহল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবার জঙ্গলমহল উৎসব হচ্ছে না। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সাধের' জঙ্গলমহল উৎসব বন্ধ, আর তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো চর্চা চলছে তুঙ্গে। আর অন্য দিকে শিল্পী মহলে এক রাশ হতাশা!
স্বস্তিতে দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজ | প্রকাশকে ক্লিনচিট ED-র

এখন প্রশ্ন উঠছে, ন’বছর পর কেন ছেদ পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সাধের' জঙ্গলমহল উৎসবে? 
২০২১ সালে করোনাকালেও বন্ধ হয়নি জঙ্গলমহল উৎসব। এমনকি এই উৎসব করাতে ২০২২ সালে হাই কোর্টে পর্যন্ত ছুটে ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে এবছর তাঁর 'সাধের' উৎসবে কেন এতো অনিহা? এই প্রশ্নই তুলছে বিরোধী শিবির। 

করোনা আবহে যে উৎসবের জন্য আদালতে লড়েছিল প্রশাসন, এখন স্বাভাবিক সময়ে তা কেন বন্ধ করা হচ্ছে, তা নিয়ে মুখে তালা প্রশাসনিক কর্তাদের। কিন্তু এদিকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা পরিষ্কার জানান, ‘‘এবার জঙ্গলমহল উৎসব হচ্ছে না। কারণ জানি না। শীর্ষ মহল থেকে উৎসব হবে না বলে জানানো হয়েছে।’’ অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জানেনই না কেন হচ্ছে না জঙ্গলমহল উৎসব। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই উৎসব বাতিলের এতো বড় সিদ্ধান্ত? তবে কার একক বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত?

এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপির ঝাড়গ্রাম পর্যবেক্ষক সুজিত অগস্তী কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলের সরকার গরিব মানুষের জন্য কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা নয়ছয় করেছে। এখন ভাঁড়ারে টান পড়ায় মেলা-খেলা বন্ধ হচ্ছে।’’ শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বহু আগে থেকেই বলে আসছেন, ‘এই সরকার মেলা খেলার সরকার’। তবে কি ভোট টানতেই এই ‘মেলা খেলা’? এই প্রশ্নই এখন উঠছে।

আট দিন ধরে এই মেলা করতে লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ হয় রাজ্যের। আলোকসজ্জা, মঞ্চ তৈরি, আদিবাসীদের ধামসা- মাদল বিতিরন করা হয়ে থাকে এই উৎসবে- এছাড়াও আরও কতো কি…! ‘ভোট খেলায়’ ‘ডাহা হার’ এক প্রকার নিশ্চিত! সেই আভাস ইতিমধ্যে পেয়েও গেছে রাজ্য সরকার থেকে শাসক শিবির। তাই কি এবার ‘বেকার’ খরচ রুখতেই জঙ্গলমহল থেকে মুখ ফেরালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর