ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৬ জুনঃ ( Latest News) কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর তদারকি, বিপাকে মমতা ? পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাজ্যপাল থেকে শুরু করে হাইকোর্ট। এবার কি সেই একই পথে হাটবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক? ৮ই জুলাই ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধী দল গুলি। প্রথম থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো নাপসন্দ ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। তাঁদের মতে রাজ্য পুলিশ দিয়েই শান্তিপূর্ণ ভোট করানো সম্ভব।
১১ ই জুন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্টে মামলা হয় এবং ১৩ই জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়,স্পর্শকাতর এলাকায় অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে কমিশন গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে পারে।এরপর ১৫ই জুন ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যায় নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যসরকার । ২০শে জুন হাইকোর্টের সেই রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট ।
নির্বাচন কমিশন কোন রাস্তা খুঁজে না পেয়ে ২২ জেলার জন্য মাত্র বাইশ কোম্পানি বাহিনী চাইলেও রাজ্যের সর্বত্র যেভাবে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন ছড়াতে শুরু করল তার পরিপ্রেক্ষিতে একুশে জুন হাইকোর্ট ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বাহিনীর থেকেও বেশি বাহিনী গোটা রাজ্যজুড়ে মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। এরপরও কমিশন সোজা পথে না হাঁটায় রাজ্যপাল কে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং রাজ্যপাল রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিব সিনহাকে তলব করেন। কিন্তু রাজীব সেই সেই তলব সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
এরপরই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট নবান্নে ফেরৎ পাঠায়। আর এতেই কমিশনার তড়িঘড়ি আরো ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কে পাঠায়। ইতিমধ্যেই আরোও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করেছে এবং তারপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কি রূপরেখা রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে, তা জানতে চাইলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। (EVM News)