ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১৩ মেঃ কি করে বুঝবেন স্তন ক্যানসারের লক্ষণ ? জানুন... বিশেষজ্ঞদের মতে স্তন ক্যানসারকে বিশেষভাবে বোঝা দরকার , জানা দরকার। তাহলে অন্য ক্যানসারগুলিকে বুঝতে অনেক সুবিধা হবে। এই ক্যানসারটিকে উন্নত দেশগুলিতে “ড্রেডেড” বা অত্যন্ত ভয়াবহ বলে মনে করা হয়। একটু সতর্ক থাকলে এই রোগে আক্রান্ত মহিলারা আগেভাগেই রোগটির উপস্থিতির আভাস পেতে পারেন। এই “সেল্ফ এক্সামিনেশন ” এর সারকথা হলো, মহিলারা নিজেদের স্তনে একটি দলা পাকানো পিণ্ড বা গাঁট (ইংরেজিতে যাকে লাম্প বলা হয়)-এর উপস্থিতি টের পেতে পারেন।

রোগটিকে সনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। একেবারে শেষ ধাপ বায়োপসি। বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। তাই ক্যানসার খুব তাড়াতাড়ি ধরাও পড়ে। কিন্তু এর ফলে  ক্যানসারের কিয়োর রেট কতটা বাড়ছে? এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতামত কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছ। তাঁদের সুস্পষ্ট অভিমত, শল্য চিকিৎসার অভাবনীয় উন্নতি, রেডিও থেরাপির অগ্রগতি এবং নিত্য-নতুন কেমোথেরাপির পরেও বিগত পাঁচ দশকে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হার বেড়েছে বৈ কমেনি।

শুধু ভারতবর্ষই নয়, আমেরিকাতেও  প্রতি এক লাখ আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ১৬৩ জনের মৃত্যু ঘটে। বর্তমানে এই সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৯৪।  যে ধরণের ক্যানসারই হোক না কেন, তার সূত্রপাত কিন্তু শরীরের সুস্থ কোষ থেকেই হয়ে থাকে। অর্থাৎ সুস্থ কোষগুলিই ক্যানসার কোষে রূপান্তরিত হয়। ক্যানসারের প্রচলিত চিকিৎসার সার কথা হলো এই রূপান্তরিত কোষগুলোকে নিকেশ করা। কোনো ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পক্ষেই একথা বলা সম্ভব নয় যে এই চিকিৎসার ফলে ঠিক কতো দিনে রোগী ক্যানসার মুক্ত থাকবেন।

শুধু তাই নয়, ক্যানসার মুক্ত বলে ঘোষিত রোগীদের শরীরে ক্যানসার যে আবারও দেখা দেবে না, নেই সেই নিশ্চয়তাও। এই ক্যানসার নিকেশ অভিযানের ফলে রোগীর  চেহারাটা কেমন হবে, অর্থাৎ কোয়ালিটি অফ লাইফ কী “লাইফলেস” বেঁচে থাকার সমতুল্য হয়ে দাঁড়াবে না? এ প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই দেখা দেবে যে প্রচলিত ক্যানসার বিজয় অভিযান পরিহার করলে রোগীর মৃত্যু কী তরান্বিত হতো?

এর কোনো সদুত্তর ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের জানা নেই। তাঁদের এটাও জানা নেই যে কেন  অধিকাংশের ক্যানসার একদম শেষ অবস্থায় পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত তাদের বাহকদের সামান্যতম বিব্রত করে না। ভারত সহ এই বিশ্বে ‘র প্রায় প্রতিটি দেশের, বিশেষ করে আমেরিকার মতো উন্নত দেশের ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের লিস্ট হাজির করে সঙ্গত এই প্রশ্নের সদুত্তর চাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার কেন বিচার্য হিসেবে স্বীকৃত হবে না?

ক্যানসার মুক্তির চাবিকাঠি হলো একদম শুরুতেই তার উপস্থিতি টের পাওয়া,এই প্রচার অভিযানের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চিকিৎসা বিপর্যয়ের জন্য রোগী এবং তাদের পরিজনের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অছিলা মাত্র।’শুরুতে যদি দেয় গো ধরা,ক্যানসার কে যাবেই মারা’ আসলে একটা মিথ মাত্র।আসুন, সন্মানপূর্বক এই মিথটিকে কবরস্থ করার আয়োজন করা যাক। (Latest News)

হাসপাতালে না গিয়ে নিজের প্রাইভেট চেম্বারে ব্যস্ত চিকিৎসক, হয়রানির শিকার রোগীরা

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর