ব্যুরো নিউজ, ২৪ ডিসেম্বর: কর্ণাটকে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা তোলায় তীব্র বিরোধিতা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের হিজাব পরে যাওয়ায় উপর আর কোনও বাধা রইল না।
মিড ডে মিলের খিচুড়িতে ইঁদুর! বিক্ষোভ অভিভাবকদের
কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী বিএস বোম্বাই রাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। যদিও এই মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলা পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত যেহেতু এখনো পর্যন্ত রায় ঘোষণা করেনি তাই বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তই জারি থাকে। সেই মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় প্রতীক প্রতিফলিত হয় সেই রকম কোনো পোশাক না পরার নির্দেশ জারি ছিল। কিন্তু বর্তমান কংগ্রেস সরকার সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা ইচ্ছামতো হিজাব পরতে পারবে, তাতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কে কী খাবে, কী পড়বে তা আমরা ঠিক করে দেওয়ার কেউ নই। আমরা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
সিদ্দারামাইয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির মতে একই রখম পোশাক পরলে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ঐক্য বজায় থাকে। সুপ্রিম কোর্টও সেই কথা বলেছে, কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই সিদ্দারামাইয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। কর্ণাটক সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, এই সিদ্ধান্তে আসলে কংগ্রেস শরিয়ত আইনকেই মান্যতা দিয়েছে। ]
গিরিরাজ সিং আরও বলেছেন, “এটা শুধু হিজাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নয়, এই ভাবে আসলে রাজ্যে শরিয়তকে মান্যতা দিল কংগ্রেস।” আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি করেন, রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় থাকলে দেশে ইসলামিক আইনি জারি করে দিত। ইভিএম নিউজ