ব্যুরো নিউজ, ২৮ ডিসেম্বর: এবার কোন দলে অনুপম?
২০১৪ সালের আগেই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দহরম মহরম ছিল চোখে পরার মতো। আর সেই সুত্রে ২০১৪ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে বোলপুরের সাংসদ হন। তিনি আর কেউ নন। তিনি পেশায় প্রোফেসর অনুপম হাজরা। সেই অনুপম রাজ্যের ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগেই ডিগবাজি মেরে চলে যান বিজেপিতে। কিন্তু জিততে পারেননি। উল্টে রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাদের সাথে তাঁর মতবিরোধ শুরু হয়ে যায়। কলেজে পরানোর তকমা থাকায় অনুপমকে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য করা হয়। সেই সময় বিজেপির রাজ্য নেতা রাহুল সিনহার সঙ্গে শুরু হয় ঠাণ্ডা লড়াই। আর এতো দিন পরে অনুপমকে দলে ব্রাত্য করে দেয় বিজেপি। কারন তিনি বার বার প্রকাশ্যে দলের প্রাক্তন প্রোফেসর তথা বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমন করেন।
নবনিযুক্ত ডিজি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু
অনুপম বলেন, সুকান্তের সঙ্গে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের কোন মানুষের সাথে যোগাযোগ নেই। কার্যত অনুপম দলের নানা অনুষ্ঠানে সুকান্তকে লক্ষ্য করে বলেন, ওর কোন লোকজন নেই। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় শোরগোল। কিন্তু উচ্চ পদে থাকায় দলের অনেকেই তেমন সাহস দেখায়নি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সুকান্ত মজুমদারের জয় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই সুকান্তর উচিৎ নিজের সাংসদ এলাকায় থাকা।
অনুপমের প্রতিদিন রুটিন করে রাজ্য বিজেপির নানা কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা করে চলেছেন। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির কেন্দ্র নেতারাও বিরক্তবোধ করতে থাকে। মুখে বলার পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়াতেও অনুপম সোচ্চার। রাজ্য বিজেপির একাংশ মনে করেন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর গোপন সখ্যতা বেড়েছে। যেকোনো সময় তিনি যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। বুধবার বিজেপি নেতার পদ খোয়ানোর প্রশ্নে সাংবাদিকদের বলেন, এখনি তিনি মন্তব্য করবেন না। ‘দুদিনের জন্য হিমালয়ে যাচ্ছেন’। ফিরে এসে উত্তর দেবেন। এই ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য পুকুরে নেমে পড়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তিনি বলেন, অনুপম রবীন্দ্র সংস্কৃতির ছেলে। বিশ্বভারতী নিয়ে মমতা প্রতিবাদের কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছিলেন। উনি প্রতিবাদী। বিজেপি ধান্দাবাজের দল। আবার সেখানকার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দি রায় বলেন, অনুপমের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা। তবে অনুপম এখন দলের তাপমাত্রা মাপছে। ইভিএম নিউজ