আদালতে

ব্যুরো নিউজ, ১৬ জানুয়ারি: আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইলেন পর্ষদ সচিব

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উমা প্রামানিক নামে এক মহিলাকে বাঁকুড়া শালতোড়া গার্লস হাই স্কুলের চাকরির সুপারিশ পত্র দেয় এসএসসি। তবে অভিযোগ, সুপারিশপত্র পাওয়ার দু বছর কেটে গেলেও উমাকে এখনো পর্যন্ত চাকরির নিয়োগপত্র দেয়নি  মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায় পর্ষদের তরফে কোন সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি। তাই চাকরি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এর পরে মামলাকারীর এসএসসি- এর দেওয়া সুপারিশপত্র প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরতেই মামলার মোড় ঘুরে যায়।

কংগ্রেসের যাত্রায় এডওয়ার্ডস

আদালতের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদ ভুল তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করেছে। তাদের গাফিলতির কারণেই এতদিনে চাকরি পাননি মামলাকারী ওই মহিলা। পর্ষদের ভূমিকায় উস্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও। তিনি পর্ষদের সচিবকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। বিচারপতি আদালতে জানান, কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ জানাতে হবে।

সোমবার এই মামলার শুনানিপর্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সচিব সুব্রত ঘোষ হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে, নিঃশর্তে আদালতের কাছে ক্ষমা চান। তিনি জানান, এই ভুলের জন্য দায়ী দফতরের এক সহকারি সচিব, পর্ষদ সভাপতির পিএ ও দুজন চুক্তিভিত্তিক গ্রুপসি কর্মী সহ মোট ৪ জন। তাঁদের উদাসীনতার কারনেই ওই ভুল হয়েছে। পর্ষদ সচিব আরও জানান, ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। শো কজ করা হবে তাঁদের। পর্ষদের সচিবের ভূমিকায় আস্থা রেখেছে হাইকোর্ট।

সমস্ত কিছু শুনে বিচারক বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন, আগামী ২২ শে জানুয়ারির মধ্যে আদালতের নির্দেশ মানতে হবে। আদালতকে স্পষ্ট রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, গাফিলতি কোথায় ছিল ও তার পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিচারপতি বসু আরও বলেন, একজন যোগ্যকে এতদিনেও চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য যারাই দায়ী তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে পর্ষদ সচিব কি পদক্ষেপ করছেন, আগামী শুনানিতে আদালতে সেই রিপোর্ট দিয়ে তা জানাতে হবে পর্ষদকে। ইভিএম নিউজ            

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর