ব্যুরো নিউজ, ১ নভেম্বর: আগামীকাল থেকে শুরু ২য় হুগলি সেতু সংস্কারের কাজ
১০ই অক্টোবর ১৯৯২ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতু। আগামীকাল থেকেই সেই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ শুরু হচ্ছে। আজ রাত বারোটার পর থেকেই সেই কাজ শুরু করা হবে। সেতুর সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার ফলে টানা ৮ মাস যান নিয়ন্ত্রণ হতে চলেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। ভারী পণ্যবাহী গাড়ি ও মাঝারি পণ্যবাহী কোন গাড়িকে বুধবার অর্থাৎ আজ থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আর চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সেতুর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কড়াকড়ি চলবে। যদিও যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিকল্প কিছু রাস্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন। যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণের গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখবে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। তাদের নির্দেশ অনুসারে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ । রক্ষণাবেক্ষনের কাজের এই দীর্ঘ সময়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা। সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হাওড়া সিটি পুলিশের কাছে।
ট্রেনে ‘সুখটান’ আর নয়!
ডি এল খান রোডের দিক থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে হসপিটাল রোড, কে পি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পাঠানো হবে। এক্সাইড ক্রসিং থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে জওহরলাল নেহরু রোড, ডোরিনা ক্রসিং, সি আর এভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় পার করে টালা ব্রিজ, ডানলপ ক্রসিং হয়ে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে। একইভাবে পোর্টের দিক থেকে আসা ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর বদলে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করে গন্তব্যে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, পোর্ট ট্রাস্টের বেশ কিছু বড় গাড়িও এই দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরেই যাতায়াত করে। সেই গাড়ি গুলিকে রাত ১২টার পর পাস করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য যত সব ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়ি আছে সেই গাড়িগুলিকে এই আট মাসের জন্য যাতায়াত করতে হবে নিবেদিতা সেতু ধরেই। ইভিএম নিউজ