লিপস

ব্যুরো নিউজ, ১৩ ডিসেম্বর: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি!

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার ডিরেক্টর নথি জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাই কোর্টে এমনটাই জানায় ইডি। এরপরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা অভিষেকের নাম না নিয়েই প্রশ্ন তোলেন, তাঁর আয়ের উৎস কী?

টাকা সরাতে সাহায্য করলে ‘পুরস্কার’ সরকারি চাকরি! 

পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েছেন অভিষেক। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফলে তাঁর আয়ের উৎস জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

মঙ্গলবার ইডি আদালতে জানিয়েছে, লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিইও ৫,৫০০ পাতার নথি জমা দিয়েছেন। তারা তা খতিয়ে দেখছে। রুজিরাও এসেছিলেন। সেকশন ৫০ অনুযায়ী ইডি তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে। এরপর ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ এ কথা শোনার পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘আপনাদের কথা মতো যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। যদি সম্পত্তির পরিমাণ কম হত, তা হলে এতো নথি আসত না। এটা ঠিক তো?’’ এবং একই সাথে প্রশ্ন তোলেন আয়ের উৎস নিয়েও।

বিচারপতি ইডিকে সাফ জানান, ‘‘আপনাদের তদন্তে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।’’ এরপরেই তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘একটা জিনিস লক্ষ করার মতো, বেশির ভাগ সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর থেকে বৃদ্ধি হয়েছে। আবার এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। দুটোর মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখেছেন?’’ এই উত্তরে ইডি জানিয়েছে, তাদের কাছে অনেক তথ্যই রয়েছে। তারা আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাবে।” বিচারপতি সিনহা করা ভাষায় বলেন, ‘‘পাঁচ হাজার পৃষ্ঠা নিয়ে আবার হাজির হবেন না। প্রয়োজনীয় অংশটি আদালতে জমা দিন।’’ ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর