ব্যুরো নিউজ, ২৯ আগস্ট: অভিষেককে কেন ডেকে পাঠাচ্ছেন না? অভিষেককে কেন এখনো সমন পাঠাচ্ছেন না? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর কার্যকলাপে এবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ২১শে আগস্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির চেতলার অফিসে ইডি অভিযান চালিয়েছিল। সেই অভিযানে প্রশ্ন ওঠে একাধিক।
টানা ১৮ ঘণ্টা ধরে চলেছিল তল্লাশি। এই তল্লাশিতে উদ্ধার করা হয় ইলেকট্রনিক্স গেজেট-সহ দুটি হার্ডডিস্ক। এই তল্লাশি শেষ হওয়ার পর ওই কোম্পানি থেকে লালবাজারের সাইবার সেল থানায় অভিযোগ জানানো হয় যে একটি কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করে দিয়ে গেছে ইডির আধিকারিকরা। সেই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতর। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের কার্যকলাপ যে একেবারে অনভিজ্ঞদের মতো তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এদিনের ঘটনা।
মঙ্গলবার পুরসভা সংক্রান্ত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা ক্ষোভ উগরে দেন ইডির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “এত গুরুত্বপূর্ণ কাজ যারা করছেন তাদের মধ্যে কাজের প্রতি এমন অবহেলা কেন? এই ধরনের আধিকারিককে কেন রাখা হয়েছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর। ইডি-সিবিআই আধিকারিকরা তাদের তদন্তে কেন গতি আনছেন না?” সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ইডির তরফ থেকে জানানো হয়, “ওই ব্যক্তি তার মেয়ের শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হওয়া ও হোস্টেল খোঁজার বিষয়ে তিনি ওই কম্পিউটারে বসে সেই সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে গিয়েছিলেন এবং তখনই ভুলবশত ১৬ টি ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়”।
এবার প্রশ্ন উঠছে ১৬ টি ফাইল কিভাবে একজন দক্ষ আধিকারিকের সামনেই ডাউনলোড হয়ে যায়? লালবাজারের তরফ থেকে সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে এই বিষয়ে ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত ফাইলগুলি ডাউনলোড করা হয়েছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআই আধিকারিকদের কার্যকলাপে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ না রেখেই আধিকারিকরা নিজের মতো তদন্ত করছে, ঘরের মধ্যে কোন জিনিস যদি লুকিয়ে রাখে, বিছানার তলায় যদি টাকা রেখে যায় বা কোনও জিনিস কম্পিউটারের মধ্যে ডাউনলোড করে দেয়, তাহলে কী করে তা প্রমাণ হবে যে আধিকারীরা তা করেননি? এরপরেই দেখা গেল এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা যা ইডি দফতরে কর্মরত আধিকারিকদের কাছে একেবারেই বেমানান। ইভিএম নিউজ