চিকিৎসা

ব্যুরো নিউজ, ২০ নভেম্বর: অতিমাত্রায় চিকিৎসা, অতিরিক্ত স্যালাইনে মৃত্যু হতে পারে ডেঙ্গু রোগীর!

বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হয় অতিমাত্রায় চিকিৎসার কারণে। ডেঙ্গুর নেপথ্যে ভাইরাস। তাই ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে রোগীর শরীরের ধাত বুঝে ততটাই ওষুধ দিতে হবে। কখনও লাগামছাড়া অ‌্যান্টিবায়োটিক, আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্যালাইন দেওয়া। শেষ ও বড় কারণ হল, বিনা প্রয়োজনে প্লেটলেট দেওয়া। মূলত এই তিনটি কারণে ডেঙ্গু রোগীর প্রাণ সংশয় হয়। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সমীক্ষা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

থ্যালাসেমিয়া মুক্ত ব্লক গড়ার লক্ষ্য!

ডেঙ্গু রোগীকে অহেতুক প্লেটলেট দেওয়ার জেরে অসংখ্য রোগীর প্রাণসংশয় হচ্ছে। এদের একটা বড় অংশের ফুসফুসে জল জমে, হার্ট ফেলিওর হয়ে মারাও যাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের একাংশের সন্দেহ, এমন ঘটনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটছে বেসরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ‌্যভবনের দাবি, ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটছে বেসরকারি হাসপাতালে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা শরীরে জলশূন্যতা। রক্তে কমে যায় অণুচক্রিকা বা প্লেটলডা। আবার রক্তবাহিকা থেকে রক্তরস বা প্লাজমা লিক করে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে রক্ত ঘন হয়ে ওঠে। সবক’টি ক্ষেত্রেই আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) চলার কথা। কিন্তু ঠিক কোন সময়ে কতটা স্যালাইন দিতে হবে, আর কখন দেওয়া হবে প্লেটলেট, তা নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা থাকলেও অনেক বেসরকারি হাসপাতালে সেটা ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে আক্ষেপ করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।

বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অতি-চিকিৎসায় হিতে বিপরীত হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার প্রোটোকল সরিয়ে রেখে চিকিৎসা হচ্ছে অনেক জায়গায়৷ সে জন্যই ফ্লুইড ওভারলোড আর প্লেটলেট সঞ্চালন সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যায়। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর