ব্যুরো নিউজ, ১৯ সেপ্টেম্বর: ৩ কন্যা সন্তান-সহ গৃহবধূকে খুনের চেষ্টা!
পরপর ৩ কন্যা সন্তান হওয়ায় গৃহবধূ ও তার ৩ কন্যা সন্তানকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেন অভিযুক্ত স্বামী।
স্ত্রীকে খুনের দায়ে গ্রেফতার সিভিক !
মালদা জেলার গাজোল থানার গোসানিবাগ এলাকার ঘটনা। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ ও তার এক মেয়ে। বাকি দুই মেয়ে আপাতত সুস্থ রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে মালদার গাজোল থানার আলতোর গ্রামের যুবতী অর্পিতা মন্ডল(৩২) গাজোলেরই গোসানিবাগ এলাকার দীপক মন্ডলকে বিবাহ করেন। বিয়ের পরে পরপর ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকেই অত্যাচার বেড়ে যায় ওই গৃহবধুর ওপর। এমনটাই জানায় আহত গৃহবধুর পরিবার। এই নিয়ে একাধিকবার গৃহবধূকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
রবিবার রাতে গৃহবধূ ও তার তিন কন্যা সন্তানকে কীটনাশক খাওয়ানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত স্বামী। অভিযুক্ত স্বামী এক মেয়ে ও স্ত্রীকে যখন কীটনাশক খাওয়ায়, তখন অপর দুই মেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক মেয়ে ও গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দু’জনকে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধূ ও তার মেয়ে। এই বিষয়ে গাজোল থানায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহত গৃহবধূর পরিবার।
সুদূর আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছে সন্তান
আহত গৃহবধুর বাবা গণেশ মণ্ডলের দাবি, তার মেয়ের পরপর ৩ কন্যা সন্তান হওয়ায় তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে চলেছে তার জামাই। সেদিন রাতে আমার মেয়ে ও নাতনিদের কিটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সেই সময় দুই নাতনি সেইখান থেকে পালিয়ে গ্রামবাসীদের বিষয়টি জানায়। বর্তমানে এক নাতনি ও আমার মেয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
আহত গৃহবধূর মা মালতি মন্ডলের দাবি, মেয়ের পর পর তিন মেয়ে সন্তান হওয়ার জন্যই মেয়েকে কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে আমার জামাই। আমরা অভিযুক্ত জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করছি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত গৃহবধুর স্বামী দীপক মন্ডলের অভিযোগ, স্থানীয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে আমার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেই বিষয়টি জানাজানি হতেই আমার স্ত্রী ও আমার মেয়েদেরকে কীটনাশক খাইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আমার স্ত্রী। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে আমার শ্বশুরবাড়ির লোক-জন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ। ইভিএম নিউজ