ব্যুরো নিউজ, ৫ সেপ্টেম্বর: ২৪ কোটির দুর্নীতি! নুসরতকে তলব ইডির। আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ই সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ।

অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে তলব করল ইডি। ফ্ল্যাট বিক্রিতে প্রতারণাকাণ্ডে তলব করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে। এছাড়াও সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও তলব করেছে ইডি। আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এবার সিআইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ১২ই সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরাত জাহানকে তলব করল ইডি। সঙ্গে সংস্থা ডিরেক্টর রাকেশ সিং কেও তলব করা হয়েছে । সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। অভিযোগ, এই সংস্থা বিভিন্ন প্রবীণ নাগরিকদের থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছে। প্রায় ২৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা ইডির আইনজীবী

প্রায় ১০০ থেকে ১০৪ জনের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই টাকা কিন্তু কোনও ভাবেই ফেরৎ দেয়া হয়নি । এমনকি বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা একাধিক তথ্য প্রমাণ নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টারে গিয়ে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরাত জাহান যিনি এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

এখন প্রশ্ন, কত টাকা তোলা হয়েছিল ও সেই টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে? ২০১৪ সাল পর্যন্ত নুসরাত জাহান এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। কোম্পানির তখন ভূমিকা কি ছিল? সংস্থার বোর্ড অফ মিটিংয়ে তিনি থাকতেন কিনা পাশাপাশি যে সমস্ত সিদ্ধান্ত হতো তাতে তার কোনও হাত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।

তারই সঙ্গে কোনও রকম আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা। আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে সেই আর্থিক লেনদেন কিসের ভিত্তিতে হয়েছিল। নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ করা হয়েছিল এই সংস্থা থেকে তিনি একটা বিপুল পরিমাণ অঙ্কের টাকা লোন নিয়েছিলেন। সেই লোন তিনি কেন নিয়েছিলেন? এবং কিসের জন্য এই কোম্পানি তাকে লোন দিল? সেই লোন কি আমানত কারীদের টাকা থেকে দেওয়া হয়েছে?

এর আগে নুসরাত জাহান সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন এই লোনের টাকা তিনি ফেরৎ দিয়ে দিয়েছেন। এই লোনের টাকা কেন এত বছর পরে তিনি ফেরৎ দিলেন এইসব বিষয়েই তদন্ত করতে ১২ই সেপ্টেম্বর ইমপোর্টমেন্ট ডিরেক্টরের তরফে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমস্ত নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাকে।

ইতিমধ্যেই ঘটনায় সরব হতে দেখাগেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারীকে। তিনি বলেন, “দুর্নীতি করেছে তাই ইডি ডেকেছে। সেখানে গিয়ে তিনি কাগজপত্র দেখিয়ে প্রমাণ করবেন”। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর