দিলেন
ব্যুরো নিউজ, ১৪ নভেম্বর: ১০০ তম বর্ষে পা দিলেন নৈহাটির 'বড়মা'

মহা ধুমধামে পূজিত হলেন নৈহাটির 'বড়মা' কালী। হাজার হাজার ভক্ত লাইন দিয়ে পুজো দিলেন মায়ের কাছে। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মার পুজো এ বছর ১০০ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে বড়মার সুখ্যাতি। ২১ ফুটের নৈহাটির বড়মা ও তার সঙ্গে ১০০ কিলোগ্রামের স্বর্ণালঙ্কার দেখতে প্রতি বছর প্রচুর ভক্তদের ভিড় জমা হয়।

ভক্তদের সাহাজ্যে শীতবস্ত্র প্রদানের উদ্যোগ
এদিন পুজো উপলক্ষে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিলো নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বিখ্যাত বড়মার মন্দিরে। যেই ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে স্বেচ্ছা সেবকদের পর্যন্ত। কথিত আছে, বড়মার কাছে কিছু চাইলে কাউকে তিনি খালি হাতে ফেরান না। তাই বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে ছুটে আসে অগনিত ভক্ত।

 

নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি বলেন, "মায়ের এতো ভক্ত আমরা বুঝতে পারিনি। বাংলার এমন কোন জেলা নেই যেই জেলা থেকে আজকে মায়ের দর্শনের জন্য লোক আসেনি। বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, সোনারপুর, বারুইপুর, দঃ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী সমস্ত জেলা থেকে দর্শনার্থীদের আগমন হয়েছে। শুধু আমাদের রাজ্য বা দেশ নয়, বাংলাদেশ থেকেও ৪- ৫ জন এসেছে মায়ের কাছে দণ্ডী কাটার জন্যে। এইটা ঐতিহ্য বলুন বা ভক্তি বলুন, মায়ের কাছে নিশ্চই তারা ফল পেয়েছে তাই বার বার মায়ের দর্শনের জন্যে তারা সুদুর প্রান্তর থেকে হলেও ছুটে আসে। স্বাভাবিকভাবেই আজকে দর্শনার্থীর ঢল চোখে পরার মতো"।
জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের রাশ উৎসবে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখার পরে নৈহাটির নদিয়া জুট মিলের কর্মী বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী বড় কালী পুজোর প্রচলন করেন। পরবর্তীকালে বড় কালী বড়মা হিসাবে জনমানসে ছড়িয়ে পরে। পুজোর ৪ দিন দেবির বিশেষ পুজো করা হয়। প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা করে বড়মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। অমাবস্যার পরের থেকেই বড়মার মন্দিরে লক্ষাধিক মানুষ শুধু দণ্ডী কেটেছেন বলে জানালেন, মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক চ্যাটার্জি। এইবছর বড়মার মন্দিরে ভক্তের ঢল চোখে পরার মতো। ইভিএম নিউজ    

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর