ব্যুরো নিউজ, ১১ নভেম্বর: ‘হিন্দুত্ব’ ও ‘রাম’ নিয়ে এ কি বললেন জাভেদ আখতার?
রাজ ঠাকরের দীপ উৎসব অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বর্ষীয়ান কবি তথা মুম্বাইয়ের গীতিকার জাভেদ আখতার। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে তাকে রাম ও সীতাকে নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল। আর শুধু কথা নয়, তাকে দেখা গেল ‘জয় সিয়ারাম’ ধ্বনি দিতে। হিন্দুদের জন্যেই গণতন্ত্র পেয়েছেন, তাকে এইটা বলতেও শোনা গেলো। বর্ষীয়ান কবি জাভেদ বলেন, রাম আর সীতা কেবল হিন্দু দেব- দেবী নন। তারা ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ। বলা বাহুল্য, বরাবরই নিজেকে নাস্তিক বলেই দাবি করে এসেছেন জাভেদ। এদিনও সেই কথা আরো একবার তিনি মনে করিয়ে দিলেন ও তিনি বললেন, “যদিও আমি নাস্তিক কিন্তু তবুও আমি রাম ও সীতাকে ভারতের সম্পদ বলেই মনে করি”।
‘হেনরি বাড়ি ফিরে এসেছে’ পোস্ট জয়ের
বর্ষীয়ান কবি এদিনের অনুষ্ঠানে আরও জানান যে, রাম- সীতার দেশে জন্মাতে পেরে, তিনি গর্বিত। তার মতে ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ কথাটি উচ্চারিত হলে সবার আগে রামের কথাই তাঁর মনে আসে। কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝে তাঁকে সিয়ারাম ধ্বনি দিতেও শোনা গিয়েছে।
নিজের ছোটবেলার কথা মনে করে জাভেদ বলেন, তিনি বড় হয়েছেন লখনৌতে। সেখানে যারা বড়লোক ছিলেন তারাই কেবলমাত্র সকালে গুড মর্নিং বলতেন। বাকিরা সবাই জয় সিয়ারাম বলেই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতেন। তাঁর কথায়,”রাম সীতাকে আলাদা ভাবা এক প্রকার পাপ। ‘শ্রীরাম’ কথাটা যেমন ভালোবাসা ও একতা দুটোকেই সমানভাবে বোঝায়। আপনারা সবাই আমার সঙ্গে জয় সিয়ারাম বলুন। আজ থেকে জয় সিয়ারাম বলা অভ্যাস করুন”।
শুধু এই নয়। তাকে হিন্দুদের প্রশংসা করতেও শোনা যায়। হিন্দুদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যে, হিন্দুরা ভীষণ সহনশীল। জাভেদের কথায়, হিন্দুদের যে বিষয়টা সব থেকে ভালো, সেটা হল হিন্দুদের মনটা খোলা আকাশের মত। ওরা ভীষণ বড় মনের মানুষ। ওরা যদি কারো কথায় কারো উস্কানিতে বিশ্বাস না করে তাহলেই জানতে হবে সে প্রকৃত হিন্দু। ওদের জন্যই আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি। হিন্দু সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারতে গণতন্ত্র আছে। ইভিএম নিউজ