ব্যুরো নিউজ, ৫ জানুয়ারি: হামলার পেছনে শাহজাহানের পোষা রোহিঙ্গারা! NIA তদন্তের দাবি বিজেপির
রাংলায় রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে আক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ED। তদন্তকারী সংস্থার পথ আটকে ভাংচুর চালানো হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেডের গাড়িগুলিতে। বেধারক মারধর করা হয় আধিকারিকদের। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এক আধিকারিকের। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার কাভার করতে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম। চিত্র সাংবাদিকের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয় ক্যেমেরা, লাইফ ইউ। এমনকি সাংবাদিক, চিত্র- সাংবাদিককেও বেধারক মারধর করা হয়। এই ঘটনা সন্দেশখালির।
জাদুঘরে বোমাতঙ্ক! বিস্ফোরণের ছক টেরোরাইজারস ১১১ গ্রুপের!
রেশন দুরনিতি কাণ্ডে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান বাড়িতেই তদন্ত করতে যান ED আধিকারিকের। আর সেখানেই ঘটে বাংলার এই ‘লজ্জাজনক’ ঘটনা। যেখানে নিজেদের কর্তব্যে নেমে রক্তাক্ত হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় গয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের। সে তালিকা থেকে বাদ পড়েনি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। তাদের ফোন, ক্যেমেরা কেড়ে, বেধারক মারধর করা হয়।
কর্মরত আধিকারিকদের মারধর! সংবাদমাধ্যমকে মারধর এই কি বাংলার রীতি? এই নক্কারজনক ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিরোধী শিবির।
যেভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আক্রান্ত হতে হয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠেছে শেখ শাহজাহানের প্রতিপত্তি নিয়েও? কতটা প্রভাবশালী হলে হাজারের বেশি অনুগামী একসঙ্গে হাজির হয়ে আক্রমণ করতে পারে? এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করছে বিজেপি।
পদ্ম শিবিরের দাবি, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে শেখ শাহজাহান। এদিনের হামলায় সেই রোহিঙ্গারা অংশ নিয়েছিল কি না, সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এই ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অবগত করার কথাও জানায় বিজেপি। এমনকি এনআইএ তদন্তের দাবিও তোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার নিন্দা করে লিখেছেন, “আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এই হামলায় রোহিঙ্গারা উপস্থিত ছিল বলেই আমার সন্দেহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপালকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।” এনআইএ তদন্তের দাবিও তোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
একই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে ইডি অফিসার ও প্রেসের উপরে শাহজাহান শেখের পোষা রোহিঙ্গা গুণ্ডারা আক্রমণ করেছে।” ইভিএম নিউজ