বন্যা

ব্যুরো নিউজ, ৪ অক্টোবর: সিকিমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাজ্যের পদক্ষেপ 

সিকিমে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি, হড়পা বান, ভয়াল রূপ তিস্তার

বুধবার ভোরেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে উত্তর সিকিম। বিপদ এড়াতে সিকিমের বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছিল। সেই জলের জন্যই  ১৫-২০ ফুট জলস্তর বেড়েছে তিস্তার। যার ফল উত্তরবঙ্গের তিস্তা পাড়ের জেলাগুলিতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এর মধ্যে রাজ্যেও নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জল জমতে শুরু করেছে। বাঁধ বাঁচাতে জল ছেড়েছে ডিভিসি। আগামী কয়েকদিনে আরও জল ছাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানানো হয়েছে ডিভিসির তরফে। ফলে রাজ্যের কিছু  জেলাতে প্লাবনের আশঙ্কা বেড়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরেই নবান্নের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বৈঠক করেন কালীঘাটের বাড়ি থেকেই। ফোনের স্পিকারে তাঁকে রেখে নবান্নের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নবান্নের অন্যান্য দফতরের সচিবেরা। সেখানেই মমতা প্রয়োজনীয় সমস্ত নির্দেশ দেন তাঁর সচিবদের। মমতা বলেন, ‘‘আমি পায়ের চোটের জন্য বেরোতে পারছি না। তবে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়োগ করেছি। তাঁরা বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। মেদিনীপুর, সবং ও ঘাটালের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, দু’টি কন্ট্রোল রুম খোলারও নির্দেশ দিয়েছি।

তবে মুখ্যসচিব ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মমতা ওই বৈঠকে রাজ্যবাসীর প্রতিও কিছু বার্তা দেন। মমতা বলেছেন, ‘‘যাঁরা নীচু এলাকায় বসবাস করেন, তাঁদের বাড়ি থেকে সরকারি শিবিরের নিরাপত আশ্রয়ে চলে আসুন।’’ একই সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘সাত-আটটি জেলায় জরুরি পরিস্থিত তৈরি হতে পারে। কারণ ডিভিসিকে আবার জল ছাড়তে হবে। কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছে গিয়েছে বলে তিনি জানান।’’ ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর