ইভিএম নিউজ, ২৮ ফেব্রুয়ারিঃ বাংলার প্রবাদে আছে ‘বিষে বিষে বিষক্ষয়’ কিন্তু তাই বলে সাপের নাকি বিষক্রিয়া! এও কি সম্ভব? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, এমনই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি সংলগ্ন এক এলাকায়। সেই সাপের প্রাণ বাঁচাতে মাউথ টু মাউথ রেস্পিরেশন দিয়ে সুস্থ করলেন এক পরিবেশকর্মী। সুত্রের খবর, সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ি হাইস্কুল সংলগ্ন এক গৃহস্থের বাড়িতে একটি র্যাট স্নেক ঢুকে পরে। সেই বাড়ির ভেতরেই একটি ব্যাঙ শিকার করে খেয়েও ফেলে। তারপরেই ঘটে অঘটন।
সেই বাড়ির গৃহিণী ঘরের ভেতর সাপ দেখে ভয়ে সাপটির গায়ে কার্বলিক অ্যাসিড দিয়ে দেন। এর ফলে বিষের প্রবল জ্বালায় ছটফট করতে করতে ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসে এবং তুলশি মঞ্চের কাছে সাপটি নিস্তেজ হয়ে যায়। নিস্তেজ হতে দেখে ওই বাড়ির গৃহিণী সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশকর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীকে খবর দেন। তিনি সাপটিকে দেখে তার সাথে কি কি করেছেন এবং তার যে মর্মান্তিক অবস্থা হয়েছে সেটি কাঁদতে কাঁদতে বিশ্বজিৎ বাবুকে ফোনেই বলেন।
সাপের এমন পরিস্থিতির কথা শুনে ছুটে আসেন বিশ্বজিৎ বাবু। তারপরেই শুরু করেন ওই র্যাট স্নেকের চিকিৎসা। ওই সাপটিকে ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে দেন। এরপর তার সারা শরীরে বরফ ডলতে থাকেন। তাতেও কিছু উন্নতি হচ্ছে না দেখে মাউথ টু মাউথ রেস্পিরেশন করেন তিনি। প্রয়োজনীয় ওষুধও দেয় সাপটিকে।
প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় সাপটি সেরে ওঠে। তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে আশেপাশের জঙ্গলে ছেড়ে আসা হয়। এর আগেও বিশ্বজিৎ বাবু অনেক সাপকে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে। তাই প্রথমবার নয়, এমন অবাক করা ঘটনা প্রায়ই ঘটে।