ব্যুরো নিউজ, ৩০ ডিসেম্বর: সবার থেকে নিন | কিন্তু তৃণমূল দল থেকে কখনোই নয় 

 

সামনেই লোকসভা ভোট। আর সেই লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান মেলা কর্মসূচী শুরু হতে চলেছে। এই ক্ষেত্রে বিজেপির কাছে অন্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। বিজেপি- কে মনে রাখতে হবে ২০২১ এর ভোট ও ধূপগুরির উপনির্বাচনের কথা। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটে বিজেপি মাত্র ৭৭ টি আসন পেয়েছিলো। জানা গিয়েছে, কাউন্টিং এজেন্ট দুর্বল না হলে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে ৬১ টি সিট, যেই সিটে বিজেপি ১০০০ টির ও কম ভোটে হেরেছিল, সেই সিটগুলি বিজেপি অনায়াসে জিততে পারতো। সিট জেতার সংখ্যাটা ১২০- ১২২ এও গিয়ে ঠেকতে পারতো।

কলকাতায় বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যুবকের মৃত্যু

ধূপগুরির উপনির্বাচনের কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছিলো, তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেত্রী তথা প্রাক্তন এমএলএ, যার মানুষের সঙ্গে এখন আর কোন যোগাযোগ নেই ও তিনি তৃণমূল দলও এখন ছেড়ে দিয়েছেন, তাঁকে আচমকা ভোটে দাড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। ফলে এখন বিজেপিকে বুঝতে হবে যে অন্য দল থেকে আসলেই যে তা বিজেপির ক্ষেত্রে লাভবান হবে, তেমন কিন্তু নয়। কারন সবাই শুভেন্দু অধিকারী নয়।

দুর্নীতিগ্রস্ত কোন কর্মী অন্য দল থেকে এসে বিজেপিতে যোগদান করলেই যে অতীতে জনতার তাঁর উপরে থাকা ক্ষোভ কম হয়ে যাবে, এমনটা মোটেই নয়। তাই দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে দলে নেওয়ার আগে বিজেপিকে আবার ভাবতে হবে। বিশেষ করে যদি সেই দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হয়ে থাকেন। বিজেপি এই কারনেই অতীতে হেরেছিল এটা ভুললে কিন্তু চলবে না। অতীতে ১০০ এর মধ্যে ১০০ টি সংখ্যালঘু ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন যেটা এবারের লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া খুব কঠিন।

তৃণমূল

এখনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল দল মাত্র ৩০- ৩৫ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট পেতে পারে। কারন বাংলার মানুষের মধ্যে তৃণমূল দল সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা পরিবার যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধেই মানুষ এইবার ভোট দেবে। তাই বিজেপিকে মাথায় রাখতে হবে যে গোটা রাজ্যে তাঁদের তৈরি করা সংগঠন যথেষ্ট। যাদের গায়ে দুর্নীতির কাঁদা লাগানো তাঁদের প্রবেশপথ বন্ধ করে দিতে হবে। অন্য সব দল থেকে কিছু কর্মীকে নেওয়া গেলেও, তৃণমূল থেকে একদম নয়। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর