সন্ন্যাস

ব্যুরো নিউজ, ২৮ ডিসেম্বর: সন্ন্যাস থেকে সংসার | চলছে বিনা পয়সায় মাস্টারি 

সন্ন্যাস জীবন থেকে অবসর নিয়ে ফের ফিরেছেন সাংসারিক জীবনে। আর এই প্রত্যাবর্তনের পরেই গ্রামের লোকের কাছে ‘বিনা পয়সার মাস্টার’ হিসেবে খ্যাতিলাভ বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের বোন্দলহাটি গ্রামের বাসিন্দা রাজর্ষি চৌধুরীর। ২০০০ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়ার প্ল্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক করেন রাজর্ষি। তিনি চাইলে হয়ত এরপর লাখ টাকার চাকরি জোটাতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবিক জীবন থেকে নিজেকে আলাদা করে সম্পূর্ণ উলটো পথে হেঁটেছিলেন রাজর্ষি। গ্রহণ করেছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে সন্ন্যাস ধর্ম। তারপর তাঁর দীর্ঘ ৬ বছরের যাত্রা রামকৃষ্ণ মিশনে।

রাজর্ষির মা জানান, ছোট থেকেই রাজর্ষি বুদ্ধিদীপ্ত ছিলেন। কিন্তু ছোট থেকেই আধ্যাত্মবাদ তাঁকে আঁকড়ে ধরেছিল। শুধু নিজের মধ্যে আধ্যাত্ববাদকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিলেন এমনটা নয়। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের মধ্যেও ভাগ করে নিতেন বিভিন্ন আধ্যাত্মবোধের চিন্তাভাবনা। রামকৃষ্ণ মিশনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পরে একসময় গভীর শারীরিক ব্যাধি তাঁকে ফিরে আসতে বাধ্য করে সাংসারিক জীবনে। সন্ন্যাস থেকে সাংসারিক জীবনে প্রত্যাবর্তন বোধহয় খুবই বিরল ঘটনা এই সমাজে।

চৈতন্যদেবের উত্তরাধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ব্রাত্য

রাজর্ষিবাবু কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি। সংসার জীবনে প্রত্যাবর্তন করে নিজেকে গ্রামের লোকের কাছে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বিনা পয়সার মাস্টার’ রাজর্ষি। গ্রামের নতুন প্রজন্মের ছেলেদের কাছে তিনি খুব প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন। কারণ একেবারেই বিনা পয়সায় অবিরত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা দিয়েই চলেছেন তিনি। রাজর্ষিবাবু খোদ জানান, বিনা পয়সায় শিক্ষাদানের পরিবর্তে ছাত্রছাত্রীদের যে ভালোবাসা তিনি পান তাতেই তিনি খুশি। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর