আপনি
ডঃ জয়ন্ত তপাদার, ৮ নভেম্বর: সন্তানের শিক্ষায় আপনি বাধা নন তো? জানুন সঠিক পাঠ্য বিষয় নির্বাচনের ছক

প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, আই সি এস সি, সি বিএস সি, আইএসসি পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে আর কয়েক মাস পর।  ফলে এমন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময় এই লেখা তৈরি করছি যখন কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষ আবার কারো পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেই বাংলা বা ইংরেজি যে মাধ্যমেরই ছাত্র বা ছাত্রীর হোক না কেন তাকে সাধারণত সাইন্স, আর্টস বা কমার্সে পড়ার জন্য ভর্তি হতে হয়।

এখানে আরো একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, ইন্ডিভিজ্যুয়াল সাবজেক্ট পছন্দ করার ব্যাপারে গত কুড়ি-তিরিশ বছরের আমল পাল্টে গেছে এখন একজন আর্স নিয়ে পড়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে অঙ্ক, ভূগোল, নিউট্রিশন  ইত্যাদি থাকে। আবার সায়েন্স নিয়ে পড়া ছেলে তার পছন্দের বিষয়ের মধ্যে ম্যানেজমেন্ট কে রাখছে।

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৫০৮ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ইডির

বর্তমান যুগে বিদ্যা শিক্ষা পেশা ও অর্থ উপার্জন এইসব বিষয়গুলো একটার সঙ্গে আরেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষিত গ্রাজুয়েট ছেলে রাস্তায় অটো চালাচ্ছে বা এগ রোল চাওমিন বিক্রি করছে বা উচ্চ শিক্ষিতা কোনও মেয়েকে সামান্য বেতনে কোনও অফিসের রিসেপশনের চাকরি করতে হচ্ছে। এই আমরা চারিদিকে আকছার  দেখতে পাই।

এ যুগে শিক্ষা গ্রহণ করাটা শুধু যে সময় ইনভেস্টমেন্ট তা কিন্তু নয় সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগ করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। আর এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজন সত্যিকারের পণ্ডিত জ্যোতিষী ছাত্র-ছাত্রীর জন্ম ছকের যথাযথ সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করে পথ নির্দেশ করতে পারে যে সে কোন কোন বিষয়ে রাখবে তার কোর্সে যাতে ভবিষ্যতে তার কর্মসংস্থানের পথ সুগম হয়। এর উল্টোটা হলে ভষ্মে ঘি ঢালার সমতুল্য হবে।


যেকোনো মানুষের হরোস্কোপ বা জন্ম ছকে মোট ১২টি ভাব বা ঘর আছে। লোটো ভাব হল জাতক নিজে। লগ্ন কে প্রথম ভাব (ঘর) ধরে ঘড়ির কাটার বিপরীতে প্রতিটি ভাবকে আলাদা আলাদা ভাবে গণনা করা হয়। বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে চতুর্থ ভাব নির্দেশ করে স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভ। তৃতীয় ভাবে নির্দেশ করে জাতকের শিক্ষায় আগ্রহ। নবম ভাব নির্দেশ করে উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পড়াশুনা। পঞ্চম ভাব নির্দেশ করে বুদ্ধিমত্তা ও মেধা।

বিদ্যা শিক্ষার বিচারে কৃষ্ণমূর্তি পদ্ধতির সূত্রাবলী:
চতুর্থ ও একাদশ ভাব যদি যুক্ত হয় তবে কলেজ পর্যন্ত পড়াশুনা হয় (দশম ভাব হল কর্মভাব জীবিকা, একাদশ ভাব হল সাফল্য)
চতুর্থ+নবম+একাদশ বিদ্যালয়ে পর্যন্ত শিক্ষা।
তৃতীয়+অষ্টম+একাদশ শিক্ষায় ছেদ বা বাধা নির্দেশ করে।
চতুর্থ+নবম+ দশম বিদ্যাশিক্ষা জন্মস্থান থেকে দূরে হোস্টেল ইত্যাদিতে নির্দেশ করে।
চতুর্থ +নবম +দশম ভাবের সঙ্গে মঙ্গল, বুধ, শনি সম্পর্ক যুক্ত হলে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
পঞ্চম+ অষ্টম+ নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে শুক্র ও রবি বা শুক্র ও মঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে রসায়ন নিয়ে শিক্ষা নির্দেশ করে।


তৃতীয়+ নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে বৃহস্পতি, বুধ, মঙ্গল গ্রহ পরস্পর কোনো না কোনোভাবে সম্পর্কযুক্ত হলে ম্যানেজমেন্ট।
তৃতীয় +নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে বৃহস্পতি, বুধ, চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে সাংবাদিকতা।
তৃতীয়+ চতুর্থ+ নবম ভাব যুক্ত হয়ে বুধের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে অংক শাস্ত্রে শিক্ষা নির্দেশ করে।
চতুর্থ +নবম ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি, বুধ, শুক্র সম্পর্কযুক্ত হলে পদার্থবিদ্যা।
পঞ্চম+ অষ্টম+ নবম অথবা পঞ্চম+ ষষ্ঠ+ দ্বাদশ ভাবের নির্দেশক হয়ে রবি ও শুক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হলে জীবন বিজ্ঞান নিয়ে শিক্ষা নির্দেশ করে।  ডঃ জয়ন্ত তপাদার (জ্যোতিষ রত্ন উপাধি) যোগাযোগ- ৮২৫০৬২৭২০৩/ ৯৪৭৪৭৩২৯০১। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর