ব্যুরো নিউজ, ১১ অক্টোবর: সন্তানের প্রতি অভিযোগ নিয়ে এজলাসে বিচারের আশায় বৃদ্ধা
সন্তানদের হাতে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের নিপীড়নের মামলা হাইকোর্টে আগেও হয়েছে। প্রকাশ্য এজলাসে বিচারপতির নির্দেশে সন্তানদের বাবা মায়ের কাছে তাঁদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতেও দেখা গিয়েছে। এমন দৃশ্য অতীতে হাইকোর্টে অনেক ঘটতে দেখা গিয়েছে। তবে এই ঘটনাটা যেন আরও হৃদয়বিদারক। ভরা এজলাসে বিভিন্ন মামলার সওয়াল করছিলেন আইনজীবীরা আর সেই সওয়াল-জবাব মন দিয়ে শুনছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময় এজলাসে কাঁদতে কাঁদতে উপস্থিত হলেন এক বৃদ্ধা। তিনি জানান, তিনি উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর দুই ছেলে। তাঁর অভিযোগ তাঁর বড় ছেলেকে নিয়ে। তিনি জানান, বড় ছেলে বড় চাকরি করলেও তাঁর দেখাশোনা করেন না। উপরন্তু বড় ছেলে তাঁর বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছে। তাঁর ছোট ছেলে রিকশাচালক। অতি কষ্টে হলেও সে তাঁর মায়ের দেখাশোনা করে।
‘বাবা সুস্থ আছেন’| পোস্ট অমর্ত্য সেনের মেয়ে নন্দনার
বৃদ্ধার মুখে তাঁর দুর্দশার কথা শুনে বৃদ্ধার বড় ছেলের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি ওই বৃদ্ধার কাছে জানতে চান, তাঁর বড় ছেলে কোথায় চাকরি করেন। বৃদ্ধা জানান, তাঁর বড় ছেলে শিয়ালদহ রেলে কর্মরত। আইনজীবীদের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের ঘটনায় বহু সময়ে মামলা মোকদ্দমার বদলে সমস্যার সমাধানের উপায় থাকে। তাতে কাজ না হলে বিষয়টি মামলার দিকে গড়ায়।

এই শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রথমে বলেন, বৃদ্ধাই যেন ছেলেকে আদালতে ডেকে নিয়ে আসেন। তবে শারীরিক অসুস্থতা বিচার করে তিনি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেন, বৃদ্ধার বড় ছেলেকে যেন খবর পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হতে বলা হয়েছিলো। বিচারপতি এও নির্দেশ দেন যে, বৃদ্ধার ছেলে নিজে না এলে পুলিশ পাঠিয়ে যেন তাঁকে কোর্টে আনা হয়। ওই বৃদ্ধাকেও আদালতে উপস্থিত থাকতে বলেছিলেন তিনি। এরপর বৃদ্ধাকে বিচারপতির আশ্বাস, ‘‘আপনি যান। আমি দেখছি কী করতে পারি”। ইভিএম নিউজ