ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ ৯ দিন আগেও তিনি ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। একটা রিপোর্ট বদলে দিল সেই ছবি। ধনীর তালিকায় একেবারে ১৬ নম্বরে নেমেছে মোদি ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির নাম।
আমেরিকার মার্কেট রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, জালিয়াতি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ারদর পড়তে শুরু করে দিয়েছে। দেশের তথা বিশ্বের বাজারে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে আদানির সংস্থা।
শুক্রবার শেয়ার বাজারে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের শেয়ারের দর ১০ শতাংশ পড়ে যায়। সেইসঙ্গে মার্কিন বাজারের ডাও জোন্স সূচক থেকে আদানি এন্টারপ্রাইজের নথিভুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু আদানি এন্টারপ্রাইজ নয়, শেয়ার বাজারে আদানির আরও তিনটি সংস্থা (আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেড, আদানি ট্রান্সমিশন এবং আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড) বিগত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে যায়। পতন হয় আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি উইলমার এবং আদানি পাওয়ারেরও।
এই পরিস্থিতিতে আদানির শেয়ার কেনাবেচা সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়। পরে আবার তা চালু হলেও পতন ঠেকানো যায়নি। সামগ্রিক ভাবে আদানিদের ওই সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়েছে ৫ শতাংশেরও বেশি। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) যে ঘোষণা হয়েছিল সেই প্রক্রিয়াও স্থগিত রাখা হয়। সংস্থার কর্ণধার গৌতম আদানি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, লগ্নিকারীদের সব টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তবে তাতে খুব একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না লগ্নিকারীরা।