ব্যুরো নিউজ, ৩১ ডিসেম্বর: শুনানির আগে দিল্লি পাড়ি কামদুনি নির্যাতিতার পরিবারের
আগামী মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে কামদুনি মামলার শুনানি। তার আগে আজ রবিবার দিল্লি যাচ্ছেন কামদুনি নির্যাতিতার পরিবার।
কলকাতা থেকে কোচবিহার ‘বাংলায় বিকল্প রাজনীতি’-র খোঁজ
নয়া বছরের ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে নির্যাতিতার পরিবার- সহ গোটা বাংলা। কামদুনির পরিবারের সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছেন প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল। কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি ভূষণ রামকৃষ্ণ গাভাইয়ের এজলাসে মামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্য কামদুনি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছে। তবে গত অক্টোবরেই শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, শুনানি না করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
২০১৩ সালে কামদুনির গণধর্ষণকাণ্ড গোটা রাজ্য তোলপাড় করে দিয়েছিল। ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
কিন্তু পরে অভিযুক্তদের তরফে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হয় সইফুল আলি এবং আনসার আলি। আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করা হয়। পাশাপাশি বাকি তিন সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের সাজা লঘু হয়। কিন্তু তাদের নিম্ন আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। যেহেতু তাদের ১০ বছর সাজা হয়ে গিয়েছিল, তাদের সাজা মকুব করে ডিভিশন বেঞ্চ।
তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশ মেনে নিতে পারেনি নির্যাতিতার পরিবার- সহ প্রতিবাদীরা। সাজা লঘু করার প্রতিবাদে নামে বিভিন্ন সংগঠন। ইভিএম নিউজ