ইভিএম নিউজ, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ স্কুলে পড়াবে আস্ত এক রোবট। শুধু পড়াবেই না বাচ্চাদের পড়া ধরবে, পড়া না পারলে আবার বকাও দেবে। শুনে অবিশ্বাস্য লাগছে তো? বাস্তবে এমন ঘটনারই সাক্ষী থাকল কর্নাটকের একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা। কর্নাটকের উত্তর কন্নড় জেলায় প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে বাচ্চাদের টেকনোলজি সম্পর্কিত জ্ঞান দিতেই রোবট বানিয়ে চমকে দিলেন ওই স্কুলেরই পদার্থবিদ্যার শিক্ষক অক্ষয় মাশেরকার। তিনি শুধু স্কুলের শিক্ষকই নন, তিনি পদার্থবিদ্যার গবেষকও। তাঁর পাশাপাশি চৈতন্য প্রি-ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকও।
কর্নাটকের ওই শিক্ষক জানান, এটি খুব উন্নত প্রযুক্তির রোবট নয় কিন্তু গ্রামের স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এই রোবটটি মাথা ও হাত নাড়াতে পারবে। তাছাড়াও সব বিষয়ে পড়াতে পারবে, প্র্যাকটিকাল ক্লাসও নিতে পারবে। পাশাপাশি একজন শিক্ষক যেমন বাচ্চাদের পড়া ধরে, পড়া না পারলে বকা দেওয়া এগুলি সবই করতে পারবে এই রোবটটি। এখানেই শেষ নয় পড়া পারলে আবার হাত তুলে প্রশংসা করবে এই রোবট। এই রোবটের নাম ‘শিক্ষা’ রেখেছেন তিনি।
তবে হঠাৎ কেন এই রোবট তিনি বানালেন? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার সময় দু’বছর অনলাইনে পড়াশোনা করেছে বাচ্চারা। এর ফলে অনেকক্ষেত্রেই দেখা গেছে গ্রামীণ এলাকায় গরিব,দুঃস্থ শিশুদের মোবাইল না থাকায় অনলাইন ক্লাস করতে পারেনি অনেকেই। আর তাই অনলাইন পড়াশোনার যে ধারা সেটা বাচ্চাদের বোঝানোর জন্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন বদল আনার জন্যই রোবোটিক প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন তিনি। এই প্রযুক্তির ফলে বাচ্চাদের একটি নতুন ধারণাও তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যন্ত গ্রামের বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা খুবই কম দেখা যায়। এর ফলে, ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চনীয় থাকে। আর এই সমস্যা মেটাতেই এইবার গ্রামের ওই সমস্ত স্কুল গুলিতে রোবট এর মাধ্যমে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্নাটকের শিক্ষক অক্ষয় মাশেরকার।
তিনি বলেন, ‘এখন চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত বাচ্চাদের পড়াবে এই ‘শিক্ষা রোবট’। প্রতিটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পড়াবে এবং বুঝিয়েও দবে এই রোবট। তবে ইতিমধ্যেই রোবট দেখে বাচ্চারা বেশ খুশি। সেই আগ্রহে তারা স্কুল জেতেও রাজি এখন’।