শাসকদলের হাত থেকে পিছলে গেল ডক ইনস্টিটিউট। ১৯৬৭ সালে হলদিয়া বিমানবন্দরটি ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হলদিয়া শহরে গড়ে তোলা হয়েছিল। বন্দরটি তৈরি করা হয়েছিল কলকাতা বন্দরে সহযোগী হিসেবে, তাই একে বন্দর না বলে “ডক কমপ্লিট” বলা হয়।  বর্তমানে এটি দেশের ব্যবসা – বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্ব পূর্ণ বন্দর। পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম বন্দর হিসেবে গন্য করা হয়।বর্তমানে বন্দরের কর্মী আধিকারিকদের বিনোদনমূলক এই অনুষ্ঠানের পরিচালক সমিতির নির্বাচনের সব ক’টি আসনে জিতেছে সিটু। শ্রমিক সংগঠন সিটুর নেতৃত্বে  সমস্ত বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ জোট এই সাফল্যের মূল কারণ।

দুই বছর ব্যবধানে এই নির্বাচন সংগঠিত হয়। গতবার বামেদের হাতে এসেছিল মাত্র একটি আসন। এবারের বন্দরের সাতটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সিটু সহ চারটি সংগঠন জোট বেঁধে এই নির্বাচন লড়ে। একজন সহ-সভাপতি সমেত ১৯ টি আসনে জয় পায় বামেরা। এই  জোটে জানা যাচ্ছে সিটু সমর্থক সাতজন। বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূলের সাতজন ও অন্য দুটি সংগঠনের চারজন প্রার্থী ছিল। এবার ও কেন্দ্র পরিচালিত হলদিয়া বিমানবন্দরে ভোটে দাগ কাটতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরদারিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। তিনটি প্যানেলে ভোট দান প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হয়েছিল।  বাম প্রগতিশীল জোটের প্যানেল সমর্থক ১৯ টি আসনেই জয়ী  হন। দ্বিতীয় স্থানে আইএনটিটিইউসি। তৃতীয় প্যানেল ভারতীয় মজদুর সংঘ।

বামেদের বহু নেতার দাবি তৃণমূলের রাজ্য জুড়ে বহু  দুর্নীতি যোগ থাকার কারণেই এই বন্দরের কর্মী আধিকারিকরা মুখ ফিরিয়েছে। বন্দরের সিটু  বক্তব্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট হয়েছিল বলে ন্যায্য ভোট হয়েছে। হলদিয়া বন্দরে ভারতীয় মজুর সংঘর নেতা প্রদীপ বিজলীর দাবি প্রতিষ্ঠানের আমাদের সদস্য ৫০। ভোট পেয়েছি দু’শো টার বেশি, নৈতিক জয় আমাদের। তবে কি দলের বাম জোটের ফলে খেলা ঘুরল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেছেন খুব খারাপ ফল হয়েছে, ময়না তদন্তের দাবি করব।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর