ব্যুরো নিউজ, ১৪ নভেম্বর: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে দশ রাজ্যে NIA-র অভিযানে গ্রেফতার ৪৪

বুধবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় এনআইএ’র অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর, পদুচেরির মোট ৫৫টি জায়গায় তল্লাশি চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযানে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রেলগেটের রাস্তা ‘মৃত্যু ফাঁদ’! ৭ দিনে ৫টি বড় দুর্ঘটনা |এরপরেও ঘুমোচ্ছে প্রশাসন?

দেশজুড়ে সক্রিয় রোহিঙ্গা পাচার চক্র। অনুপ্রবেশের তদন্তে নেমে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ওপার বাংলা থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার মানব পাচার চক্রের হদিশ পেতে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনআইএ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৪ জনকে। এরমধ্যে বাংলা থেকে গ্রেফতার তিন জন।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই মানব পাচারের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতো। মূলত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের এই দেশে অনুপ্রবেশে সাহায্য করা হতো। এরপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নকল পরিচয়ে বসবাস করতে সাহায্য করত অভিযুক্তরা।

বুধবার এনআইএ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্ণাটক থেকে ১০ জন, অসম থেকে ৫ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তেলেঙ্গানা, পদুচেরি, হরিয়ানা থেকে একজন করে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। নগদ কুড়ি লক্ষ টাকা ও ৪ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে অসম পুলিশ মানবপাচার চক্রের খোঁজ পায়। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে দেশের এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তভার গ্রহণ করে এনআইএ।

এই অভিযানের পরে এনআইএ’র তরফে চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। এনআইএ’র দাবি, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, রাজস্থান, হরিয়ানা থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ছড়িয়েছিল। বিভিন্ন মডিউল কাজ করছিল এই সব রাজ্যগুলি থেকে।

অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা থেকে আসা একটি ট্রেনে একদল রোহিঙ্গাকে দেখতে পেয়ে আটক করে অসমের করিমগঞ্জ পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই মানবপাচার চক্রের খোঁজ মেলে। এখনো পর্যন্ত ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায়। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর