ভুল মানুষ মাত্রই করে। অনেকে ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়ে নেন, আবার অনেকে ভুলটাকেই ঠিক বলে প্রচার করতে চান। যাঁরা এই দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ, তাঁদের কাছে কিন্তু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক উদাহরণ। সম্প্রতি ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে। সেই ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে ল্যাঙ্কাশায়ারে চলন্ত গাড়িতে এক ব্যক্তি সিট বেল্ট পরেননি। চলন্ত গাড়িতে থাকা ওই ব্যক্তিই হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। সিট বেল্ট ছাড়াই গাড়িতে সফর করার জন্য শুক্রবার ব্রিটেনের পুলিশ তাঁর উপর জরিমানা করে। অর্থাৎ আইনের শাসনে রেহাই পেলেন না দেশের প্রধানমন্ত্রীও। ল্যাঙ্কাশায়ার পুলিশ জানায়, সিট বেল্ট ছাড়া যেকোনো আরোহীর কাছে পরিস্থিতি যেমন বিপদজ্জনক তেমনই আইন বিরুদ্ধ। ফলে তিনি যে-ই হননা কেন তাঁকে তাঁর ভুলটা থেকে সতর্ক করা এবং জরিমানা করাটা আইনের অনুশাসনের মধ্যেই পড়ে। আর তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকও এই আইনের আয়তার মধ্যেই পড়েন। এই প্রসঙ্গে, ডাউনিং স্টিটের মুখপাত্র বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষনের জন্য সিট বেল্টটি খুলেছিলেন। তবে তিনি তাঁর দোষ স্বীকার করেছেন। এমনকি ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, গাড়িতে সফর করার সময় সকলেরই সিট বেল্ট পরা উচিত। বিরোধীদের কটাক্ষ, তিনি প্রায়শই কিছু না কিছু ভুল করছেন, তা কী মসনদে বসার চাপ? যদিও এই ব্যাপারে ঋষি সুনক মুখ খোলেননি।