ব্যুরো নিউজ, ১৩ অক্টোবর: রেশন দুর্নীতিতে সরব আয়কর বিভাগ
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পুর নিয়োগ, রেশন থেকে লটারির টাকা তছরূপ, একাধিক দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় ইডি। গত দু সপ্তাহ ধরে লাগাতার প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যের কোণায় কোণায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি। কখনও পুর দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়ি হানা তো কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ। বুধবার দিনভর জেলায় জেলায় চলে রেশন দুর্নীতির তদন্ত। সেই তদন্ত চালানোর মাঝে এবার সক্রিয় আয়কর বিভাগও। রাজ্যে লটারি জয়ের মধ্যে টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আয়করের নিশানায় ছিল একের পর এক তৃণমূল নেতাদের লটারি জয়। জানা গিয়েছে, এবার মধ্যমগ্রামের সুকান্ত নগরে একটি লটারি ছাপাখানায় এদিন পড়ে আইটি রেইড। ছয়টি গাড়ি নিয়ে দশ-বারো জনের একটি দল কারখানার গেটের ভিতর ঢুকে যায়। কারখানার গেট বন্ধ করে শুরু হয় তল্লাশি। উল্লেখ্য, বিরোধীরা বহুদিন ধরেই একের পর এক তৃণমূল নেতাদের লটারি জেতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, কালো টাকা সাদা করতেই লটারি সংস্থার সঙ্গে তারা বোঝাপড়া করে। লটারি জয়ের বিষয়টি আরও প্রচারে আসে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের লটারি জেতার ফলে। গরু পাচার মামলা ও অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির উৎস সন্ধানে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্তও করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।সি বি আইয়ের দাবি ছিল, কেষ্ট কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিনবার লটারির টাকা ঢুকেছে ও কেষ্ট মণ্ডলের নামে দুবার লটারি জেতার খবর বেরোয়। তাদের সন্দেহ ছিল এর সঙ্গে গরু পাচারের বেআইনি টাকার যোগ রয়েছে।
একাধিক তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। কারও কারও অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা হয়েছে। আয়করের সন্দেহ, ঘুরপথে কালো টাকা সাদা করতে লটারি সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে। লটারির পুরস্কার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এই কারখানায় ছাপা লটারির যোগসূত্র আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় আয়কর আধিকারিকরা ভিতরে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর। এছাড়া শিলিগুড়ির এক লটারি ব্যবসায়ীর বাড়িও চলে অভিযান। ইভিএম নিউজ