ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১০ মার্চঃ (Latest News) রিঙ্কুকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের মাঝেই যশের মনোবল বাড়াতে উদ্যোগ নাইটদের।    রাতভোর জয়ের উৎসব পালন করে এবার নতুন লক্ষ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স। চলতি সপ্তাহে ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এদিকে ধীরে ধীরে দল গুছিয়ে নিচ্ছে কেকেআর। জেসন রয় ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
 
বাংলাদেশের লিটন দাসও কলকাতায় চলে এসেছেন। ফলে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের হাতেও এখন একাধিক বিকল্প। পরপর দুটো ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ফায়দা পেয়েছে নাইটরা। ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পাশাপাশি দলের তারকা খেলোয়াড় রিঙ্কু সিং। একইভাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে নেমে বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সুয়াস শর্মা। এবার জেসন রয়, লিটন দাস দলে যোগ দিয়েছেন। অধিনায়ক নীতিশ রানাও রানে ফিরেছেন। চিন্তা শুধু ক্যারিবিয়ান অলরাউণ্ডার আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ইতিমধ্যে রাসেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। সামনের ম্যাচে ইডেনে রাসেলের পরিবর্তে দু'জন নয়া বিদেশি ব্যাটারের একজনকে দেখা যাবে কি না তা সময় বলবে।
সোমবার রাতে শহরে পৌঁছল নাইটরা। আগামীকাল ঐচ্ছিক অনুশীলন রাখা হতে পারে। আপাতত জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জোড়া জয়ের হ্যাংওভার কাটিয়ে নতুন স্ট্যান্স নিতে চাইছে কেকেআর। এদিকে রিঙ্কু সিংকে নিয়ে আনন্দের মাঝে যশ দয়ালের পাশে দাঁড়ালো কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ ওভারে রিঙ্কু সিং পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন এই অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের পেসারের বিরুদ্ধেই। ছক্কার ধাক্কায় পিচেই হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন যশ দয়াল।



গুজরাট টাইটান্সের সতীর্থরা তাঁকে সান্ত্বনা দেন। এবার সহমর্মিতার হাত বাড়ালো কলকাতা নাইট রাইডার্সও। তাঁরা তাদের সামাজিক মাধ্যমে যশ দয়ালকে সান্ত্বনা দিয়ে লিখেছে, “মাথা উচু করে এগিয়ে চল বন্ধু। এটা অফিসে একটা খারাপ দিনের মত। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তুমি আদতে একজন চ্যাম্পিয়ন। আশা করছি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে। ” 

যশ দয়ালের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গাঙ্গুলীও। ১৯৭৫ সালের বড় ম্যাচে মোহনবাগানের হয়ে তিন কাঠির নিচে দাঁড়িয়ে হজম করে ছিলেন চার চারটি ভাস্কর। ৫-০ গোলে সেই বড় ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেদিনের ঘটনার সঙ্গে রবিবারের মোতেরার ঘটনার তুলনাটা হয়তো মনে হতে পারে মানানসই নয়। কারণ ক্রিকেট এবং ফুটবলের তুলনা চলে না। তবুও একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে ভাস্কর গাঙ্গুলী মনে করেন , 'প্রত্যাবর্তন সম্ভব। খেলার মাঠ এবং জীবন সবকিছুতেই মানসিক দৃঢ়তা সবচেয়ে জরুরি। ব্যর্থতা ক্রীড়াবিদদের জীবনের একটা অংশ। আজ যারা অন্ধকারে ছুঁড়ে দিচ্ছে, ভালো খেললে তারাই মাথায় তুলে নাচবে। তাই ভুল কোথায় হয়েছে তা সঠিকভাবে বিচার করে, খুঁজে বের করে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করতে হবে। আমিও বাড়তি পরিশ্রমে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেয়েছিলাম। শুনলাম যশ ছেলেটার বয়স অনেক কম। চেষ্টা করলে সেও পারবে। যে পারে সেই চ্যাম্পিয়ন'।(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর