মুম্বই এফসি ফাঁড়া আর কাটল না মোহনবাগানের। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে ফের নৌকাডুবির সাক্ষী থাকলেন গ্যালারিতে থাকা হাজার কয়েক মোহনবাগানী। প্রথমার্ধ শুরুর কিছুক্ষণ এবং শেষ কুড়ি মিনিট বাগানের জ্বলে ওঠার মধ্যে রসদ থাকলেও মোহনবাগান তাকে গোলে পরিণত করতে পারেনি। এর প্রধান কারণ ছিল মুম্বইয়ের ইষ্পাত কঠিন রক্ষণ এবং লিস্টন কোলাসো, হুগো বুমো, পেত্রাতোস, আশিক কুরুনিয়ানদের বিপক্ষের গোলমুখে পৌঁছে দায়সারা মনোভাব। একমাত্র পেত্রাতোসকে স্ট্রাইকারে রেখে বাগান কোচ ফেরান্দো পিছন থেকে বুমোদের মাধ্যমে ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দলে রয় কৃষ্ণা বা নিদেন পক্ষে গোল করার মতো একটা ডেভিড উইলিয়ামসও নেই। তাঁর কোচিং স্টাইলের পরিকল্পনায় নাকি এই দু’জন মানানসই হয়ে উঠতে পারেননি। তাই ফেরান্দোর ইচ্ছেপূরণ করতে এঁদের ছেঁটে ফেলা হয়। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে এভাবেই সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে।
১৪ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট পেয়ে মুম্বই এক নম্বরে থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এটা তাদের টানা নবম জয়।১৩ ম্যাচ খেলে ২৩ পয়েন্ট পেয়ে চার নম্বরেই রইল মোহনবাগান। অন্যদিকে মুম্বই এফসি মোট সাতবারের মধ্যে মোহনবাগানকে এই নিয়ে পাঁচবার হারাল। এবারে অবশ্য প্রথম সাক্ষাতটা অমীমাংসিত ছিল। মুম্বই নকআউটে পৌঁছে গেল এই জয়ের সুবাদে। মুম্বইয়ের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন লালিয়াংজুয়ালা ছাংতে। তবে এ ম্যাচে বাগানকে তছনছ হওয়া থেকে উদ্ধার করেন গোলরক্ষক বিশাল কেথ। তিনি অন্তত হাফডজন প্রায় নিশ্চিত গোল না বাঁচালে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে চূড়ান্ত লজ্জ্বায় পড়তে হতো।