ব্যুরো নিউজ, ১০ জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর গঙ্গাসাগর ছাড়তেই সেখানে উপস্থিত মেদিনীপুরের সংসদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সেখানে হাজির মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সূর্য যখন মধ্যগগণে, তখন নামখানার জেটি ঘাটে তিনি পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে লঞ্চে চেপে সাগরের বেনুবন হয়ে বিকেল তিনটে নাগাদ পৌঁছান গঙ্গাসাগরের মেলায়। মঙ্গলবার বিকেলে গঙ্গাসাগরের মুড়িগঙ্গা নদীর উপর সাগর স্বচ্ছ্ব ভারত সেবাদল দাতব্য চিকিৎসালয়ের উদ্বোধন করেন তিনি। তিনি সেখানে বলেন, গঙ্গাসাগরের মুড়িগঙ্গা নদীর উপর আগামী দিনে সেতুও তৈরি হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর থেকে যাওয়ার পরই মেলায় এসে দিলীপ ঘোষের এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবার সুন্দরবনের মধুর ঝুলিতে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনকারণ, এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ ও কী কী উদ্যোগ নিয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেন। কুম্ভ মেলার জন্য কেন্দ্র আর্থিক সাহায্য প্রদান করে, অথচ গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য কেন্দ্রের থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায় না বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাগর ব্লকে পানীয় জল প্রকল্প থেকে শুরু করে গঙ্গা সেতু, হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীর উপর সেতুর প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। আগে যে বলা হত, সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার। সেই সময় এখন আর নেই, ওইদিন তা বার বার বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'এখন গঙ্গাসাগর বার বার'। গঙ্গাসাগর যে এখন আর দুর্গম নয়, সে কথা বলছেন দিলীপ ঘোষও।
দিলীপবাবু বলেন, "গঙ্গাসাগর ছিল সবথেকে দুর্গম তীর্থগুলির মধ্যে অন্যতম। এখন আর তা দুর্গম নেই। আগে বন-জঙ্গল ছিল, বাঘ ছিল, কুমির ছিল। যেহেতু এখানে আসা ও ফিরে যাওয়া কঠিন ছিল, তাই অনেকে জীবিত ফিরতেও পারতেন না এখান থেকে। এখন তো হেলিকপ্টারও চলছে। রাস্তা হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে ব্রিজ হওয়ার কথা চলছে, সেটাও হয়ত করে দেওয়া হবে"। বুধবার ভোরবেলা কুয়াশাকে উপেক্ষা করে কয়েক হাজার পুণ্যার্থীদের সঙ্গে পূর্ণ স্নান করলেন ও কপিলমুনি মন্দিরে পুজো দিলেন মেদিনীপুরের সংসদ। ইভিএম নিউজ