তল্লাশি

ব্যুরো নিউজ, ১২ জানুয়ারি: মন্ত্রী সুজিত বসু ও তাপস রায়ের বাড়িতে ইডির হানা 

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে সকাল সাতটা নাগাদ হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, আজ সকালে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার আরও দুই জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁরা সুজিত বসুর লেকটাউনের দু’টি বাড়িতে ও তাপস রায়ের বউবাজারের বাড়িতে হানা দিয়েছেন। মন্ত্রীর বাড়ি বাইরে থেকে ঘিরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই সুজিতের বাড়ির নীচে পুলিশও এসে পৌঁছে গিয়েছে।

সন্দেশখালি কাণ্ডে হাইকোর্টে ইডির মামলা দায়ের

২০১৬ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত। সেই সময় পুর নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার সকালে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করেছিল সিবিআই। গত বছরের ৩১ আগস্ট তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই নথির সূত্র ধরেই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।

উল্লেখ্য যে, এর আগে ইডির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সুজিত। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর নাম বলবার জন্য তাঁরই প্রাক্তন আপ্তসহায়ক নিতাইকে চাপ দিচ্ছেন ইডি আধিকারিকের। সেই প্রসঙ্গে অক্টোবর মাসে লেকটাউনের এক পথসভায় সুজিত বলেছিলেন, “নিতাই আমার আপ্তসহায়ক ছিল। ওর বাড়িতে গিয়েও ইডি ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেছে। কিন্তু কিছুই পায়নি। তিনি আরও বলেন, “শুধু বলছে সুজিত বসুর নামটা বলে দাও, লিখে দাও, তোমাকে ছেড়ে দেব। এটা কী ধরনের অত্যাচার”!

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত ১৯ মার্চ নিয়োগ মামলায় ইডি অয়ন শীলকে গ্রেফতার করেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ওই সংস্থার দাবি ছিল, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে এও জানা গিয়েছিল, অয়নকে জেরা করার পর তাঁরা জানতে পারে, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অয়ন মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এর পরেই আতশকাচের নীচে চলে আসে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি। পুর নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্তের ভার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে হস্তগত করেছিলেন। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত রাজ্যের সেই আর্জি খারিজ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকেই বহাল রাখে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর