ইভিএম নিউজ  ব্যুরো,শিলিগুড়িঃ আর কত রাত একা থাকবে ভীম? এবার তো একটা গতি করতে হবে! অতএব ভীমের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে সঙ্গিনী। নিয়ে আসছে রাজ্যের বনদফতর আর শিলিগুড়ির জলদাপাড়ার বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। আর হ্যাঁ, ‘ভীম’ কে জানেন? ‘ভীম’ হল জলদাপাড়ার এক এবং অদ্বিতীয় আকর্ষণ সেই একশৃঙ্গ গণ্ডার। পশু মনোবিদরা বলেন খুব বেশি দিন কোন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ গন্ডার একা থাকলে অবসাদ বাড়ে তার। তবে ভীমের একাকীত্ব কাটাতে এগিয়ে এল বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বন দপ্তর। পার্কের একমাত্র গন্ডার ভীম। পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণও সেই। তাই শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের এই পার্কে একশৃঙ্গ মেয়ে গন্ডার ব্যবস্থা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে তাদের মধ্যে প্রজনন ঘটালে বেঙ্গল সাফারি পার্কে গন্ডারের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃক। আগামী মাস কয়েকের মধ্যেই পার্কে পৌঁছে যাবে নতুন অতিথি। তবে শুধু গন্ডার নয়, ব্ল্যাক বাক হরিণের মতো আরও কিছু নতুন জন্তু আনার পরিকল্পনাও করেছে পার কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ, উত্তরবঙ্গ) রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “পার্কে একটি গন্ডার আছে। বহুদিন ধরে একা থাকায় একাকিত্ব বোধ করছে। সেজন্য আরেকটি মেয়ে গন্ডার আনার চেষ্টা চলছে। সঙ্গে হগ ডিয়ার ও ব্ল্যাক বাক ডিয়ার আনা হবে।“
বেঙ্গল সাফারি পার্কের শুরু থেকে রয়েছে ওই একটি গন্ডার। মহানন্দা অভয়ারণ্যে সঙ্গিনীর জন্য অন্য একটি গন্ডারের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে জখম হয়েছিল ভীম। তার কানের একটি অংশ কাটা পরে যায়। লড়াইতে হেরে যাওয়ার জন্য তাকে এলাকাও ছাড়তে হয়। সেই সময় গন্ডারটিকে উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলে। নাম রাখা হয়েছিল কানহেলা। চিকিৎসার পর সেটিকে পার্কেই পৃথক এনক্লোজার করে ছাড়া হয়। নামকরণ করা হয় ভীম। এখন তাকে দিয়েই চলছে রাইনো বা গন্ডার সাফারি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর