ব্যুরো নিউজ, ৩১ অক্টোবর: ব্যাঙ্ক ঋণ পরিশোধ করতে RBI এর নতুন নিয়ম
ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে সেই ঋণ সময় মতো পরিশোধ না করতে পারলে একজন গ্রাহকের সঙ্গে কী হতে পারে সেইটা আমাদের কল্পনার বাইরে। একজন গ্রাহক যদি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করতে পারে তাহলে, ব্যাঙ্কের নিয়োগ করা বেসরকারি লোন রিকভারি এজেন্টরা ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রাহককে মারধর থেকে শুরু করে, তার গাড়ি ছিনতাই করে নেওয়া, বাড়ির ভেতর ঢুকে মারধরের হুমকি দেওয়া, এমনকি জনসমক্ষে অস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার মতো বহু ঘটনার নজির আছে। এই নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে বহু মামলাও হয়েছে।
বালু ও আপ্তসহায়ককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভবনা
এরপর আদালতের নির্দেশ ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কিছু নিয়মবিধির ফলে ঋণ আদায়ের নামে গ্রাহকদের উপর অত্যাচার খানিকটা হলেও কমেছে। তবে একেবারে যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা নয়। আর তাই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থার ঋণ আদায়ের পদ্ধতির উপর বেশকিছু বিধিনিষেধ নতুন করে আরোপ করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য সরকারি-বেসরকারি সকল ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা থার্ড পার্টি রিকভারি এজেন্ট নিয়োগ করে। তারাই মূলত টার্গেট পূরণের জন্য গ্রাহকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করে।
এতে লাগাম টানতে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে RBI। তারা বকেয়া ঋণের অর্থ বা কিস্তির টাকা আদায়ের পদ্ধতি নির্দিষ্ট প্রটোকলে বেঁধে রাখার জন্য নতুন একটি প্রস্তাব এনেছে। যেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে, কোনও ঋণ গ্রাহকের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য সকাল ৮ টার আগে ও সন্ধে ৭ টার পর ফোন করে বিরক্ত করা চলবে না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়াকড়ির ফলে ঋণ গ্রাহককে শারীরিকভাবে হেনস্তার পরিমাণ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। কিন্তু বিভিন্নভাবে ফোন করে তাঁদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলার ধারাবাহিকতায় এখনও পরিপূর্ণ ছেদ পড়েনি। পাশাপাশি প্রতিটি ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাকে তাদের রিকভারি এজেন্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ঋণ আদায়ের নামে কোনও গ্রাহককে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা না করে। ইভিএম নিউজ