ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২২ মার্চঃ বছরের পর বছর রাস্তার একই বেহাল অবস্থা। একদিনের হালকা বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান কাদা। রাস্তার দশা এতটাই খারাপ যে পথচলতি মানুষদের নাজেহাল অবস্থা। ৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে যে বহু গর্ত তৈরি হয়েছে, সেখানে জল জমে ছোট ছোট জলাশয়ের আকার নিয়েছে। একদিনের বৃষ্টিতেই যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠেছে গোটা এলাকার রাস্তা। ঘাটালের শ্রীমন্তপুর থেকে কামারডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তার হালও একই । এই রকম অবস্থায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।শ্রীমন্তপুর, কামারডাঙ্গা, কোমরা ও আনন্দপুর সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ এই রাস্তার উপরই নির্ভরশীল।এলাকার মানুষের অভিযোগ, রাস্তার এই বেহাল দশার পরিবর্তনের কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন অথবা স্থানীয় নেতারা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ নির্বাচনের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ এর মতো কর্মসূচীর উদ্যোগ নিলেও, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ সরকার।
প্রত্যেক বছর বর্ষা নামলে্ই একই দৃশ্য, পরিবর্তনের কোন নাম নেই। কাদার উপর দিয়েই নিত্য কাজে যাতায়াত করতে হয় বহু মানুষ-কে। শাসকদল ও প্রশাসনের কাছে গত বছরের বেহাল দশার কথা জানাতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেতে দ্বিধাবোধ করেননি এলাকার মহিলারাও।ওই এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর চক্রবর্তী, লক্ষ্মী দিগার ও শিখা চক্রবর্তী সহ অনেকেই জানাচ্ছেন,বৃষ্টি হলেই সমস্যায় ভোগে এলাকার স্কুল পড়ুয়ারা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন,আগামী পঞ্চায়েত ভোটে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।বেহাল দশার অবস্থার স্বীকার করে নিয়ে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মান্না জানিয়েছেন, বার বার বিভিন্ন মহলে দরবার করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। খুব সমস্যায় ভুগছেন এলাকার মানুষ।
তবে এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যরা দায় চাপিয়েছেন সেচ দপ্তরের উপর। জানা গেছে, বছর দুই আগে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীবাঁধ মেরামতের কাজ করেছিলো।কিন্ত ঠিকাদার সংস্থা উপরেই দায়িত্ব ছিল রাস্তার নির্মাণের কাজটি সম্পূর্ণ করার।কিন্ত বেহাল অবস্থায় ফেলে রেখে তারা।এই এলাকাটি ঘাটাল ব্লকের মধ্যে পড়লেও বাঁধের কাজ আরামবাগ সেচ দপ্তরের অধীনে করা হয়েছিল, বলে জানা গেছে। যে ঠিকাদার সংস্থাকে কাজটি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের গাফিলতির কারণে এই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষকে।
অপরদিকে, এলাকাবাসী এই বিষয় নিয়ে ঘাটাল প্রশাসন কে জানানোর পর ও কার্যত কোন গুরুত্ব দেননি।ইতি মধ্যে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দিলীপ মাজি ওই এলাকার রাস্তা খারাপ আছে বলে শুনেছি।কিন্ত খুব শীঘ্রই তা মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।